প্রদ্যুৎ দাস: অনন্য লড়াই? রূপকথার জার্নি? কী বলা যায় একে? একদিকে ফুটপাতে জুতোর দোকান, অন্যদিকে পড়াশোনা। কঠিন একটা লড়াইয়ের শেষে সাফল্য তাকে জড়িয়ে ধরেছে দুহাত দিয়ে। জেলার মধ্যে মাধ্যমিকে সব চেয়ে বেশি নম্বর (৬৪৯) পেয়ে সকলকে তাক লাগিয়ে দিল জলপাইগুড়ির অভিজিৎ দাস। জলপাইগুড়ি শহরের দেশবন্ধু উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র অভিজিৎ।

আরও পড়ুন: Malbazar: একদিনের বৃষ্টিতেই ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা! বন্ধ হয়ে যাবে লাভা, কালিম্পংয়ের রুট?

কতই-বা বয়স তার! স্কুলের পরে বা সারাদিনের নিজের পড়াশোনার শেষে একটু তো বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলোর ইচ্ছে হতেই পারে। কিন্তু নিজের ইচ্ছেকে মূল্য না দিয়ে বাবার সঙ্গে ফুটপাতে জুতো বিক্রি করত অভিজিৎ। কিন্তু এর ফলে সে পিছিয়ে পড়েনি। বরং চমকপ্রদ সাফল্য অর্জন করতে পেরেছে মাধ্যমিকে। জলপাইগুড়ির দেশবন্ধু উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষা দিয়ে অভিজিৎ পেয়েছে ৬৪৯ নম্বর! 

অভিজিতের বাড়ি শহর থেকে কিছুটা দূরে পার্কের মোড় এলাকায়। সেখানেই বাবার সঙ্গে ফুটপাতে জুতো বিক্রি করে ‌সে। এভাবেই তার ছাত্রজীবন যাপন। না করে উপায়ই-বা কী? আসলে এই জুতার দোকান থেকেই তো সংসার চলে। 

আরও পড়ুন: Jwalamukhi Yoga: আসছে ভয়ংকর অশুভ জ্বালামুখী যোগ! জেনে নিন কবে পড়ছে, কোন কোন কাজ এড়িয়ে যাবেন…

অভিজিতের মা বলেন, অনেক কষ্ট করে ও পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছে। আজ ওর এই সাফল্য আমাদের তাই দারুণ আনন্দ দিয়েছে। অভিজিতের সাফল্যে খুশি তার এলাকার লোকজনও। তাঁরা ছুটে এসেছেন তার বাড়িতে। দুঃস্থ কিন্তু মেধাবী এই ছাত্রের সফল ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেছেন সকলেই। 

তবে বাবা-মা নন, নিজের পরিবারের লোকজনদেরও নয়, অভিজিৎ নিজে তার এই রেজাল্টের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে তার স্কুলের শিক্ষকদের প্রতি। সে বলেছে, তাঁদের জন্যই সে এই সাফল্য অর্জন করতে পেরেছে।

এত ভালো রেজাল্ট তো হল, এর পরে কী করবে  অভিজিৎ? 

বিজ্ঞান নিয়েই পড়ার ইচ্ছে তার। কেননা, পরবর্তী কালে আইআইটিতে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করার ইচ্ছে তার। তার আগে অনেক ধাপ আছে। সামনে উচ্চ মাধ্যমিক আছে। সেখানেও ভালো রেজাল্ট করতে হবে। তাই একই সঙ্গে সে যেমন স্বপ্নমুগ্ধ তেমনই প্রতিজ্ঞাবদ্ধও। 

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version