কী মন্তব্য মদনের?
স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে এদিন মদন মিত্র সংবাদমাধ্যমে বলেন, “কণ্ঠে আমার কাঁটার মালা, সোনা পাচার, গরু পাচার, কয়লা পাচারের জন্য কেস খাইনি।” আবার নিজের পাচার মন্তব্য থেকে ১৮০ ডিগ্রি সরে দাঁড়ান তিনি। মদন মিত্র আরও বলেন, “SSKM-এ গিয়ে কী বলেছি মনে নেই। পিজি বলতে আমি বুঝি পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন। আমি হ্যালুসিনেশনে ভুগছি। আমার মুকুলের মতো অ্যালজাইমার্স হয়েছে।”
ফের একবার জল্পনা উস্কে তৃণমূল বিধায়কের গলায় রাজনীতির ময়দান থেকে অবসরের প্রসঙ্গ শোনা যায় এদিন। তিনি বলেন, “অবসরের প্রস্তুতি নিচ্ছি। সচিন রিটায়ার করতে পারলে আমি কেন নয়? অবসর জীবনে ছোটদের পড়াব।“
SSKM-কাণ্ড
ঘটনার সূত্রপাত গত শুক্রবার মধ্যরাতে। বাইক দুর্ঘটনায় আহত এক যুবককে SSKM হাসপাতালে ভর্তি করাতে নিজে ছুটে যান মদন মিত্র। তারপর SSKM কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তৃণমূল বিধায়কের সংঘাত তৈরি হয়। মদন মিত্র SSKM বয়কটের ডাক দেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর দফতর। রোগীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে আহত যুবককে ভর্তি করা হয় কলকাতা মেডিক্য়াল কলেজে।
এরপর রবিবার আহত যুবককে দেখতে কলকাতা মেডিক্য়াল কলেজে যান মদন মিত্র। সেখানে গিয়ে শনিবারের বক্তব্যের উলটো সুর শোনা যায় তাঁর গলায়। তিনি বলেন, SSKM-এ পরিষেবা পেলে মানুষ নিশ্চয় যাবেন, যাদের মনে হয়েছে তাঁরা FIR করেছেন। হাসপাতালের কোনও কর্মীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করিনি। আমার উপস্থিতিতে কেউ আঘাত পেলে আমি দুঃখিত।”
মদন মিত্রের (Madan Mitra) গলায় দলের বিরুদ্ধে যে ক্ষোভের আস্ফালণ শোনা গিয়েছিল তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এই সময় ডিজিটালকে মদন বলেন, “এখনও তো রাজনীতি ছাড়িনি। একজন চিকিৎসা পাচ্ছিল না। আমার মনে হয়েছিল তাঁকে সাহায্য করা উচিত। তাই চেষ্টা করছি।” একইসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, “আমাকে দল আগে মন্ত্রী করেছে। দলের প্রতীকেই আমি জিতেছি এবং বিধায়ক হয়েছি। ফলে দল গুরুত্ব দেয়নি, তা একেবারেই ভাবছি না। বিষয়টি খুব ছোট।”