BJP Leader : তারা মা’র ভক্ত সবাই। হিন্দু ধর্মের প্রত্যেক মানুষ তারা মা’র পা ছুঁয়ে তাঁর আশীর্বাদ নিতে চান। ঘুরে আসতে চান তারাপীঠ। কিন্তু আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে অনেকের পক্ষেই তা সম্ভব হয়ে ওঠে না। কিন্তু এবার ঘুচল সেই সমস্যা। তারাপীঠ দর্শনের এক অভিনব উদ্যোগ নিয়ে এলেন দুর্গাপুরের এক BJP নেতা। মাত্র ১ টাকায় শিল্পাঞ্চল থেকে তারা মা’র দর্শন করা যাবে ওই BJP নেতার উদ্যোগে। আর এই কারণেই শনিবার দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল থেকে সাড়ে চারশো ভক্ত চারটি বাসে করে রওনা দিলেন তারাপীঠে। দুর্গাপুর চন্ডীদাস এলাকা থেকে শুক্রবার ১ টাকার বিনিময়ে মা তারা’র দর্শন করতে টুরিস্ট বাস ছাড়া হয় ওম সাই বাবা ট্রাস্টের পক্ষ থেকে।

Tarapith Mandir: তীর্থযাত্রীদের জন্য তারাপীঠ মন্দিরে এবার বড় চমক, বিনামূল্যে মিলবে WIFI পরিষেবা
ওম সাই বাবা ট্রাস্টের সদস্য তথা BJP নেতা পারিজাত গঙ্গোপাধ্যায়ের উদ্যোগে হিন্দু ধর্মের প্রচার উদ্দেশ্যে এদিন দুর্গাপুরের ৪৩টি ওয়ার্ড থেকে প্রায় সাড়ে চারশো ভক্তদের নিয়ে বীরভূমের তারাপীঠের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় চারটি বাস। এদিন ধর্ম প্রচারের শুভ যাত্রার উদ্বোধন করেন দুর্গাপুর পশ্চিমের BJP বিধায়ক লক্ষণ চন্দ্র ঘড়ুই।

Tarapith Temple : ৫১ সতীপীঠের আদলে মন্দির নির্মাণ তারাপীঠে, দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশ
এছাড়াও ছিলেন স্থানীয় BJP কর্মীরা। BJP নেতা পারিজাত গঙ্গোপাধ্যায় জানান, “আমি গত বছরও ১ টাকায় তারকেশ্বর দর্শন করিয়েছিলাম। এই বছর তারাপীঠ যাচ্ছি। এবং আগামী প্রতিবছরই হিন্দু ধর্মের প্রচারে ভক্তদের বিভিন্ন তীর্থস্থানে নিয়ে যাব”।

Tarapith Temple : মায়ের আশীর্বাদে বছর শুরু, পুণ্যার্থীদের ঢল তারাপীঠ মন্দিরে
তিনি আরও বলেন, “এই তীর্থ যাত্রার উদ্দেশ্য হিন্দু ধর্মের প্রচার ও প্রসার। এর ফলে হিন্দুত্ব আরও সুদৃঢ় হবে বলে আমি মনে করি। প্রত্যেকবছর আমরা ওম সাই বাবা ট্রাস্টের পক্ষ থেকে এই তীর্থ যাত্রার আয়োজন করে থাকবো। আর মূল্য সেই ১ টাকাই থাকবে”।

Tarapith Temple : এবার তারাপীঠেই ৫১ সতীপীঠের দর্শন, মিলল ছাড়পত্র, কাজ শুরু শীঘ্রই
বিধায়ক লক্ষণ চন্দ্র ঘড়ুই এই যাত্রার সাফল্য কামনা করে বলেন, “এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। দল সবরকম ভাবে ওম সাই বাবা ট্রাস্টের পাশে রয়েছে”। তিনি আরও জানান, “তারাপীঠে গিয়ে পুজো দেওয়া হবে। সারারাত ধরে যজ্ঞ করাও হবে।

তারা মা’র কাছে প্রার্থনা করা হবে যে এই অশান্ত বাংলায় শান্তি ফিরে আসুক, গুলি চলা, বোমা ফাটা বন্ধ হোক, রাজ্যে শিল্প হোক, কল কারখানা হোক। যাতে এই বাংলার ছেলে মেয়েদের সস্তার শ্রমিক হয়ে রাজ্যের বাইরে যেতে না হয়”।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version