West Bengal News : রাজ্যের পুরসভা এলাকাগুলিতে বাড়ি বা ফ্ল্যাট তৈরি করতে গিয়ে অনেক সময়েই ঝামেলার মুখোমুখি হতে হয়। কারণ, প্ল্যান পাস। এই জায়গাতেই হয়ে যায় আসল সমস্যা। প্ল্যান পাস করাতে গিয়ে মাথার ঘাম পায়ে পড়ে যায় অনেকেরই। বোর্ড মিটিংয়ের অপেক্ষা করতে হয়। আর সেই অপেক্ষা যেন ফুরোতেই চায় না। এবার সেই সমস্যার সমাধান নিয়ে এল কোচবিহার পুরসভা। কোচবিহার পুরসভার বাসিন্দাদের এখন আর বিল্ডিং প্ল্যান পাস করানোর জন্য বোর্ড মিটিংয়ের অপেক্ষা করতে হবে না। কোচবিহার পুরসভায় ছয় সদস্যের একটি বিল্ডিং প্ল্যান কমিটি গঠন করা হয়েছে।

Kolkata Municipal Corporation : একই প্রকল্পের জন্য কলকাতা পুরসভায় একাধিক টেন্ডার নয়
সেই কমিটিই এখন থেকে বিল্ডিং প্ল্যান পাস করানোর জন্য আবেদন জমা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সব দিক খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। আর এই কমিটির চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন খোদ কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। এছাড়াও পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান, এগজিকিউটিভ অফিসার, ফাইনান্স অফিসার, একজন কাউন্সিলর, একজন সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়র রয়েছেন ওই কমিটিতে।

KMC Parking Fee : কলকাতায় ফের পার্কিং ফি বৃদ্ধি? নবান্নে চিঠি পাঠানোর প্রস্তুতি পুরসভার
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি মাসে দু’বার করে হবে এই কমিটির বৈঠক। আর এই বৈঠকে শহরের বাসিন্দাদের বিল্ডিং প্ল্যানের আবেদন যাচাই করে তা পাস করা হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই কমিটি গঠন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই গতকাল সোমবার একটি বৈঠক হয়ে গিয়েছে। যদিও প্রথমদিনের এই বৈঠকে শুধুমাত্র একটি আবাসনের প্ল্যান পাস করা গিয়েছে।

Howrah Municipal Corporation : প্রত্যেককে ১০ হাজার, হাওড়ার হকারদের জন্য বড় সিদ্ধান্ত পুরসভার
পুরসভার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, পরের বৈঠকগুলিতে ধীরে ধীরে সমস্ত পড়ে থাকা প্ল্যান পাসের আবেদন খতিয়ে দেখে পাস করিয়ে দেওয়া হবে। পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এই বিষয়ে জানিয়েছেন, “রাজ্য সরকারের পুর ও নগর উন্নয়ন দফতর থেকে নির্দেশ এসেছে।

Kolkata Municipal Corporation : ১০০ দিনের কাজে মজুরি মেটাতে দেরি কলকাতা পুরসভার
তারপরেই আমরা এই কমিটি গঠন করার বিষয়ে মনস্থির করি। এতে পুরসভার বাসিন্দাদের অনেক উপকার হবে। দিনের পর দিন প্ল্যান পাস করানোর জন্য অপেক্ষা করতে হবে না”। পুরসভা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, কোচবিহার পুরসভায় প্রতি মাসে গড়ে ৮০ টি প্ল্যান পাসের আবেদন জমা পড়ে।

কিন্তু বোর্ড মিটিংয়ের অপেক্ষা করতে করতে অনেকটা সময় দেরি হয়ে যায় আবেদনকারীর। অনেক সময় প্ল্যান পাস ঝুলে থাকে মাসের পর মাস। এবার প্রোমোটার থেকে সাধারণ মানুষ, প্রত্যেকেরই আশা যে খুব কম সময়ের মধ্যে পাস হয়ে যাবে তাঁদের আবেদনগুলি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version