হাতে নাকি জাদু আছে ডলি জৈনের। তিনি শাড়ি পরতে এবং পরাতে পারেন নানা স্টাইলে। সাধারণ একটা শাড়িকেই অন্তত ৩৬০ রকম স্টাইলে পরাতে পারেন তিনি। আর এই শাড়ি পরিয়েই এখন কয়েক লাখ টাকা আয় করছেন ডলি। কলকাতার একটি পরিবারের গৃহবধূ ডলি জৈন। তাঁর ‘গ্রাহক’ তালিকায় আছেন বলিউডের অভিনেত্রী থেকে শিল্পপতির পরিবারও।

Guinness World Records : লক্ষ্য গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড! রাত জেগে কাগজের শিল্পকর্ম করে চলেছেন ত্রিপুরার যুবক
এখন তাঁর পরিচিত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে স্টাইল । শাড়ি পরাতে কমপক্ষে ৩৫ হাজার টাকা নেন ডলি। তবে স্টাইল যত বাড়ে, ততই বাড়ে টাকার পরিমাণও। শাড়ি পরানোর জন্য ২ লাখ টাকাও নেন তিনি। প্রায় এক দশক ধরে এই কাজটাই করছেন তিনি। আগে নিজের পরিচিতদের স্টাইল করে শাড়ি পরিয়ে দিতেন। এখন তাঁর ডাক পড়ে মুম্বইতেও।

Bangladeshi Natok : ৬২ টা নাটকের ভিউ ১ কোটির বেশি, ইউটিউবে ট্রেন্ডিং এই অভিনেতা
এক সময়ে তাঁর শাড়ি পরতে অনেক সময় লাগত। সেই ডলির কাছেই আছে সবচেয়ে দ্রুত শাড়ি পরার রেকর্ড। সবচেয়ে দ্রুত ১২৫ রকম স্টাইলে শাড়ি পরার জন্য তাঁর নাম উঠেছে লিমকা বুক অব রেকর্ডসে। ডলির ‘কাস্টমার’দের মধ্যে আছেন রবিনা ট্যান্ডন, সারা আলি খান, দীপিকা পাডুকোন, আলিয়া ভাট, ক্যাটরিনা কাইফ, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া , শহীদ কাপুরের স্ত্রী মীরা। এই সঙ্গে নীতা আম্বানি, নীতু সিং, করিশ্মা কাপুরকেও একাধিক বার শাড়িতে সাজিয়েছেন ডলি।

Malaika Arora : ফটোশ্যুটে আরও বোল্ড মালাইকা, পুলের জলে উত্তাপ বাড়াচ্ছেন ৫০ ছুঁই ছুঁই ডিভা
অনেকেরই মতে, শাড়ি পরানোর জন্য একটু বেশি টাকা নেন ডলি। কিন্তু তাঁর আঙুল, কয়েকটি সেফটিপিন, সূচ-সুতোর কেরামতি ‘ম্যাজিক’ দেখাতে পারে। ডলির হাতে অবাধ্য শাড়িও বাধ্য হয়। সেই কারণে বিয়ের শাড়ি বা লেহেঙ্গা যে ডিজাইনারই বানানা না কেন, তা সুন্দরভাবে পরিয়ে দেওয়ার জন্য তাঁরা ভরসা করেন ডলির ওপরেই।

Full Time Daughter: চাকরি ছেড়ে দিন-রাত মা-বাবার সেবা, মেয়েকে লাখ লাখ টাকা বেতন প্রবীণ যুগলের
ডলির জন্ম রাঁচিতে। তাঁর বেড়ে ওঠা বেঙ্গালুরুতে। তবে ডলির পরিবার রাজস্থানের বাসিন্দা। ২০০৬ সালে কলকাতায় যে পরিবারে ডলির বিয়ে হয় সেখানে শাড়ি ছাড়া অন্য কিছু পরা যায় না। ডলি জানিয়েছেন, প্রথম প্রথম তাঁর শাড়ি পড়তে আধ ঘণ্টার বেশি সময় লাগত। তাই শাড়ি নিয়ে নিজেই পরীক্ষানিরীক্ষা শুরু করেন তিনি।

সময় বাঁচাতে নানা রকম ভাবে শাড়ি পরতে শুরু করেন ডলি। তার সেই স্টাইল সবার পছন্দ হয়। তিনি জানান, ছোটবেলায় পুতুলকে বিভিন্ন রকমভাবে শাড়ি পরাতেন তিনি। সেই নেশা চেপে বসার পরে ম্যানিকুইন কিনে তাতে বিভিন্ন স্টাইলে শাড়ি পরাতে শুরু করেন। সেই মত নিজেও শাড়ি পরতেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version