১২ ঘণ্টা জেরার পর ইডির হাতে গ্রেফতার সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে যান। ১২ ঘণ্টা ম্যারাথন জেরার পর রাত ১১ টা নাগাদ খবর আসে গ্রেফতার করা হয়েছে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র অর্থাৎ কালীঘাটের কাকু-কে। জানা গিয়েছে, কিচ্ছু খাচ্ছেন না কালীঘাটের কাকু। প্রায় ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে কিছুই খাননি কালীঘাটের কাকু বলে ইডি সূত্রে খবর।
জানা গিয়েছে, ইডি হেফাজতে কিছুই মুখে দেননি তিনি। গ্রেফতারির পর এদিন সকালে যখন ইডি সুজয়কে খাবার দেন তখন তিনি খেতে অস্বীকার করেন । প্রায় ২৪ ঘণ্টা কিছু খাননি কালীঘাটের কাকু । সেই নিয়ে সমস্যায় তদন্তকারীরা। ইডির আশঙ্কা, এর ফলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন তিনি। অন্যদিকে, ইডি আইনজীবীর দাবি, প্রশ্ন এড়াতেই এই কাজ করছেন সুজয়কৃষ্ণ। অসুস্থ হলে ইডি হেফাজতের বদলে হাসপাতালে ভর্তি করতে হতে পারে। সেটাই চাইছেন কালীঘাটের কাকু বলে দাবি ইডির।
কালীঘাটের কাকু অর্থাৎ সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে বুধবার সকালে সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্স ইডি দফতর থেকে প্রথমে তাকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে তার মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর রক্তচাপ ওঠা নামা করায় ঘণ্টাখানেকেরও বেশি সময় লাগে তাঁর স্বাস্থ্যপরীক্ষায়। এরপর দুপুর আড়াইটে নাগাদ তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়।
সূত্র মারফত খবর পাওয়া যাচ্ছে বুধবার সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের আইনজীবীর পক্ষ থেকে জামিনের আবেদন করা হবে। এবং ইডি-র আইনজীবীর পক্ষ থেকে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ পেশ করে ইডি ১৪ দিনের হেফাজতের আবেদন জানানো হবে । দু’পক্ষের আইনজীবীর সওয়াল জবাব শুনে নির্দেশ দেবে আদালত।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের নাম সামনে আসতেই তাঁকে তলব করে সিবিআই। প্রথমে তলব এড়ালেও পরে হাজিরা দেন তিনি। ইতিমধ্যেই একাধিকবার দফায় দফায় ‘কালীঘাটের কাকু’-এর বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালায় সিবিআই ও ইডি। গত ২০ মে যেদিন কুন্তল ঘোষের চিঠি প্রসঙ্গে তৃণমূলের সর্বভারতী সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিল ইডি, ওই দিনই আবারও তল্লাশি চলে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের বাড়ি, অফিস সহ বিভিন্ন সম্পত্তিতে চলে তল্লাশি।