নন্দীগ্রামের বিধানসভা নির্বাচন নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলেন অভিষেক। মনে করিয়ে দেন লোডশেডিংয়ের ঘটনার কথা। কর্মীদের উদ্দ্যেশে তিনি বলেন, “আদালতের নির্দেশে নন্দীগ্রামের যদি আবার নতুন করে নির্বাচন হয়, আমি কথা দিচ্ছি এখান থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ৫০ হাজার ভোটে জিতবে।”
প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রাম থেকে গত বিধানসভা নির্বাচনে করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলপ্রকাশের পর দেখা যায় বর্তমান বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী ওই কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেছেন। পরে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। ফল ঘোষণার মাঝে লোডশেডিং হওয়ায় ফল নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে তৃণমূল নেতৃত্ব।
বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামে নব জোয়ার কর্মসূচিতে যোগদান করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত মিছিল করে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে এলাকার মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ করেন তিনি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এদিন একাধিক কর্মসূচিতে যোগ দেন তিনি। নন্দীগ্রাম জমি আন্দোলনে নিহত শহিদদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূল সাংসদ।
ঠাকুর চকে এদিন মানুষের সঙ্গে জন সংযোগ করতে দেখা যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। নব জোয়ার কর্মসূচি শুরু হয় কোচবিহার জেলা থেকে। জুন মাস পর্যন্ত এই জন সংযোগ কর্মসূচি পর্যন্ত চলবে। এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন সংযোগ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কর্মী, সমর্থকদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো।
যদিও, এদিন চণ্ডীপুরের অস্থায়ী তাঁবু থেকে কিছুটা দূরে মগরাজপুর ১১৬ বি জাতীয় সড়কে উপর এই দেওয়াল লিখন চোখে পড়েছে। শুধু মগরাজপুরেই নয় নন্দীগ্রামের প্রবেশপথ হাসচড়াতেও রাজ্য সড়কের কাছে ভাইপো চোর বলে একাধিক দেওয়ার লিখন লক্ষ্য করা যায়। বিষয়টি নিয়ে শোরগোল শুরু হয়ে যায় এলাকায়।
তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নন্দীগ্রাম সফর নিয়ে বুধবারই মুখ খোলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অভিষেকের নিরাপত্তায় বিশাল পরিমাণ নিরাপত্তা বাহিনী ব্যাবহার করা হয় এবং তার জন্য বিশাল পরিমাণ অর্থ ব্যাবহার হয় বলে খোঁচা দেন তিনি।