জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তরুনের খোঁজে ওডিশা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। অন্যদিকে আহত শৈলেন রায়ের চিকিৎসা চলছে স্থানীয় হাসপাতালে। শৈলেন রায় ও তরুন রায় সম্পর্কে শ্যালক ও জামাই বাবু। এই বিষয়ে জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা জানান, “আমরা ওডিশা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করছি।
নিখোঁজ তরুনের খোঁজে তার পরিবারের লোকেরা বালেশ্বরে রওনা দিয়েছেন”। তরুন রায়ের বোন স্বপ্না রায় বলেন, “দাদার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা চেষ্টা করছি খোঁজ চালানোর জন্য। মা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন”। মা সুমিত্রা রায় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে, নিজের চিকিৎসার জন্য ভেলোরে গিয়েছিলেন পুরুলিয়ার হুড়া থানায় এলাকার অর্চনা পাল নামে এক মহিলা। পরিবারের লোকজন জানাচ্ছেন, ফেরার পথে ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি। পুরুলিয়ার হুড়া বাজার এলাকার বাসিন্দা অর্চনার সঙ্গে ছিল তার সন্তান সুমন পাল ও তার দাদা সঞ্জয় কুম্ভাকার।
এখনও অবধি দুর্ঘটনায় আহত অর্চনা পালের সঙ্গে পরিবারের যোগাযোগ হলেও তার দশ বছর বয়সী ছেলে সুমন পাল ও তার ভাই সঞ্জয় পালের সঙ্গে কোনোরূপ যোগাযোগ করা যায়নি বলে চিন্তা মগ্ন রয়েছে গোটা পরিবারসহ প্রতিবেশীরা। এদিন কান্নায় ভেঙে পড়েন অর্চনার শাশুড়ী।
এদিকে, হলদিয়া দেউলপোতা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাড়বাসুদেবপুর থেকে ৭ জন কাজের জন্য রওনা দিয়েছিলেন চেন্নাইতে। খড়গপুর থেকে ট্রেন ধরে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে চারজন বাড়ি ফিরলেও দু’জন কটক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সেই সঙ্গে একজনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
তাপস রাউত নামে এক যুবক তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না এখনও পর্যন্ত। বাকি সকলেই বাড়ি ফিরেছেন অভিজিৎ জানা, কানাই রাউত, নিতাই রাউত, নিমাই রাউত কটক। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন প্রনব রাউত। কোনোভাবে সহযোগিতা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করলেন তাপস রাউতের মা।
এদিকে, রাজমিস্ত্রির কাজ করতে সোনারপুর থেকে গতকাল করমণ্ডল এক্সপ্রেসে চেপে রওনা দিয়েছিলেন ১৮ বছরের দুই যুবক। এখনও পর্যন্ত তাদের কোনও হদিস পাওয়া যায়নি ৷ একজনের নাম অক্ষয় মিস্ত্রি ও অন্যজন দীপঙ্কর মণ্ডল৷ দুজনেই সোনারপুরের বৈকন্ঠপুর এলাকার বাসিন্দা৷ আজ বিকেল পর্যন্ত তাদেরকে বারবার ফোন করেও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে দাবি পরিবারের৷
দু’জনেরই পরিবার থেকে একটি গাড়িতে করে ঘটনাস্থলের দিকে রওনা দিয়েছেন দুই বাড়ির লোকজন ৷ তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিভিন্ন হাসপাতালে খোঁজাখুজি করেও কোনও সন্ধান এখনও পর্যন্ত করতে পারেননি বলে পরিবার সুত্রে জানা গিয়েছে ৷
এদিকে, বালেশ্বরে রেল দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল সাগরদিঘির বাসিন্দা মুনসি টুডু নামে এক আদিবাসী ব্যক্তির। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন ওই এলাকার আরও একজন। একই গ্রামের অপর একজন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।