অনলাইন বাস টিকেটিং প্ল্যাটফর্ম থেকে শনিবার দুপুরের একটি এসি বাসের টিকিট তড়িঘড়ি কাটেন শুভ। পুরী থেকে কলকাতা, এক-এক জনের টিকিট ২১০০ টাকা। শুভ-সেঁজুতিদের বন্ধু, বিরাটির সায়ন্তন ঠাকুর এ দিন সকালেই জানতে পারেন দুপুরের পুরী-হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের বাতিল হওয়ার কথা। সায়ন্তনরা তিন জন আজ, রবিবার পুরী থেকে ভুবনেশ্বরে পৌঁছে কলকাতা ফেরার বিমান ধরবেন।
এমনিতেই পুরীতে বছরভর ভিড় থাকে। এখন ভিড় সপ্তাহান্তের ছুটির। তার উপর আজ, রবিবার জগন্নাথের স্নানযাত্রা। কিন্তু পুরীতে পর্যটকদের সমস্যায় ফেলে দিয়েছে বালেশ্বরের কাছে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা। পুরীতে চাউর হয়ে গিয়েছে যে, ৬ জুনের আগে ট্রেনের অবস্থা স্বাভাবিক হবে না।
২৮ মে পুরীতে পৌঁছনো কুমোরটুলির তৃষিতা পাল ও তাঁর পরিবারের আরও ৯ জনের শনিবার সন্ধ্যায় পুরী-সাঁতরাগাছি স্পেশ্যাল ধরার কথা ছিল। কিন্তু পুরী থেকে ফোনে শনিবার তৃষিতা বললেন, “সকাল ৭টায় মেসেজ পেলাম যে, ট্রেন বাতিল। বহু চেষ্টা করেও শনিবার ফেরার বাস পেলাম না। রবিবার গাড়িতে ভুবনেশ্বর পৌঁছব। সেখান থেকে রাত ৯টা ২০-র বাস ধরব।”
আবার চক্রতীর্থ রোডের একটি হোটেলের আধিকারিক শক্তি মিশ্র জানাচ্ছেন, অতিথিরা এসে না-পৌঁছনোয় শনিবার তাঁদের দু’টি ঘরের বুকিং বাতিল হয়েছে। পুরীর নিউ মেরিন ড্রাইভ রোডের একটি হোটেলে চেতলার ঝুমা সেনরা সাত জন চেক-ইন করেন শুক্রবার সকালে। দুর্ঘটনার পর শুক্রবার রাতেই হোটেল-ম্যানেজারের পরামর্শে ভুবনেশ্বর থেকে রবিবার বিমানে ফেরার টিকিট তাঁরা কেটে নেন।
তবে এই পরিস্থিতির সুযোগে ভুবনেশ্বরগামী কিংবা ভুবনেশ্বর থেকে অন্যত্র যাওয়ার বিমানের টিকিটের দাম যেন অস্বাভাবিক বেশি না-হয়, সেই ব্যাপারে বিমান সংস্থাগুলিকে সতর্ক করেছে অসামরিক বিমান পরিবণ মন্ত্রক। উড়ান বাতিল এবং সময়সূচি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নিতেও মন্ত্রক বারণ করেছে।