ঋতভাষ চট্টোপাধ্যায়, এই সময় ডিজিটাল এক্সক্লুসিভ
রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে আবেদন করেও জামিন পাননি অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। আপাতত তাঁর ঠাঁই তিহাড়ে। খাঁ খাঁ করছে তাঁর বোলপুরের নীচুপট্টির বাড়ি। কিন্তু, সুকন্যা মণ্ডলের জন্য হাপুস নয়নে কাঁদতে থাকা তাঁর সেই বান্ধবী সুতপা পাল কোথায়? খোঁজ নিল এই সময় ডিজিটাল।

সম্প্রতি সুজাতার বোলপুরের বাড়িতে যায় এই সময় ডিজিটাল। তিনতলা পাকা বাড়ি, এখনও রং করা হয়নি। নয়া পলেস্তারার আস্তরণ। কিন্তু, একাধিকবার খোঁজ করেও দেখা পাওয়া গেল না সুজাতার। সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে নারাজ পাল পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও।

Sukanya Mondal News : বিফলে অনুব্রতর প্রার্থনা! সুকন্যার জামিনের আবেদন খারিজ, থাকতে হবে তিহাড়েই
গোরু পাচার মামলায় একাধিক তথ্য উঠে আসছে। সুকন্যার সম্পত্তি নিয়েও বিস্তর চর্চা চলছে। কিন্তু, সুতপার পাড়ায় রীতিমতো ‘হিরো’ সুকন্যা। সুতপার এক প্রতিবেশী জানান, লটারি বিক্রি করেন সুতপার বাবা। সেভাবে আর্থিক অবস্থা স্বচ্ছল ছিল না। তার উপরে তাঁর শরীরে থাবা বসিয়েছিল কর্কট রোগ।

<p>সুতপার বাড়ি</p>

অভাবের সঙ্গে লড়ে কী ভাবে মেয়েকে ক্যানসারের থাবা থেকে মুক্ত করা সম্ভব? তা নিয়ে একপ্রকাশ দিশেহারা হয়ে গিয়েছিল পাল পরিবার। সেই সময় সাহায্যে এগিয়ে আসেন অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা। বাল্যবন্ধুকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান চেন্নাইয়ে। তাঁর পরিবারের পাশেও দাঁড়িয়েছিলেন তিনি।

Anubrata Mondal : ভালো নেই অনুব্রত, তিহাড় জেলে কেষ্টর সঙ্গে সাক্ষাতে যাচ্ছেন ২ তৃণমূল সাংসদ
সুজাতার এক প্রতিবেশী বলেন, “সুজাতা একক্লাসে উত্তীর্ণ হতে পারেনি। এরপর থেকেই ও সুকন্যার ক্লাসে চলে আসে। দু’জনের স্কুল জীবন থেকে বন্ধুত্ব। যখন অনুব্রত মণ্ডল জেলে ছিলেন সেই সময় সুতপা দীর্ঘদিন সুকন্যার বাড়িতে ছিলেন, ওর পাশে থেকেছে। ঠিক কী কারণে গ্রেফতারি, তা নিয়ে আমাদের কিছু জানা নেই। তবে সুকন্যার জন্য আমাদের পাড়ার মেয়েটা প্রাণে বেঁচেছে।”

উল্লেখ্য, সুকন্যা যখন দিল্লিতে ED দফতরে হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন সেই সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সুজাতাও। তাঁর গ্রেফতারির পর ED দফতরের বাইরে বার হয়ে হাপুস নয়নে কেঁদেছিলেন সুজাতাও।

Anubrata Mondal Daughter: তিহাড়েই ঠাঁই না মুক্তি? অনুব্রত-কন্যার জামিন মামলার রায়দান বৃহস্পতিতেই
তিনি বলেছিলেন, “আমাকেও গ্রেফতার করে নিন। তাহলে অন্তত একসঙ্গে থাকতে পারব। আমার তো নিজের চিকিৎসা করার ক্ষমতাও নেই, ওর পাশে কী ভাবে দাঁড়াব।” এরপর গঙ্গা দিয়ে বহু জল গড়িয়ে গিয়েছে।

Anubrata Mondal : ‘দিদি কেমন আছে?’ তিহাড়ে দোলাকে দেখতে পেয়েই প্রশ্ন কেষ্টর
সুকন্যা দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু, সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। সম্প্রতি অনুব্রত মণ্ডল এবং সুকন্যা মণ্ডলকে দেখতে তিহাড়ে গিয়েছিল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। সূত্রের খবর, তাঁদের থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেমন আছেন সেই খোঁজ নিয়েছিলেন কেষ্ট।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version