প্রতিবাদে মঙ্গলবার রাতে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে সামিল হন তৃণমুল কর্মী সমর্থকরা। তাদের দাবি, নবজোয়ার কর্মসূচিকে ব্যর্থ করতে এই কান্ড ঘটিয়েছে সিপিআইএম। যদিও প্রত্যাশিতভাবে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিপিএমষ। এই সংস্কৃতিতে আমরা অভ্যস্থ নই, দাবি বামেদের।
ভান্ডারহাটি এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কেশবপুর থেকে ভান্ডারহাটি বাজার পর্যন্ত এলাকায় তৃণমূলের একাধিক পতাকা এবং ফ্লেক্স রাতের অন্ধকাপে ছেঁড়ার অভিযোগ ওঠে। রাতের অন্ধকারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েপ ছবি দেওয়া ফ্লেক্স ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে সামিল হন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। অভিযুক্তদের গ্ৰেফতারের দাবিতে চলে স্লোগান। পরে ঘটনাস্থলে ধনিয়াখালির পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
ভান্ডারহাটি ১ অঞ্চলের তৃণমুল সভাপতি রতন চন্দ্র মল্লিক বলেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নবজোয়ারের লোকসংখ্যা দেখে সিপিএম ভয় পেয়ে গিয়েছেন। তাই তারা রাতের অন্ধকারে এখানে সেখানে তৃণমূলের ফেস্টুন ছিঁড়ে দিচ্ছে, পতাকা পুড়িয়ে দিচ্ছে। এলাকায় হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করছে সিপিএম। কিন্তু আমরা কোনওভাবেই প্ররোচনায় পা দেব না।’
অন্যদিকে সিপিআইএম ধনিয়াখালির এরিয়া কমিটির সম্পাদক সুনীল বাগ বলেন, ‘এই ধরনের সংস্কৃতিতে আমরা অভ্যস্ত নই। নব জোয়াডর কর্মসূচি তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক কর্মসূচি। ফ্লেক্স কারা ছিঁড়ছে আমরাও চাই সঠিকভাবে তদন্ত করে বার করা হোক। থানা থেকেও ফোনও করা হয়েছিল, আমরা বলেছি এই ধরনের কাজের সঙ্গে আমাদের কেউ যুক্ত নয়। যাঁরা এসব করছে তাদের আমরা ধিক্কার জানাই।’
অন্যদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার পরই ফের প্রার্থীদের নাম বাছতে নেওয়া ভোট ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় হুগলির আরামবাগে। দলীয় নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ ওঠে তৃণমূলেরই একাংশের বিরুদ্ধে। এমনকী ব্যালট পেপার জেরক্স করে কর্মীদের মধ্যে তা বিলি করা হয়। আরামবাগের কালিপুর স্পোর্টস কমপ্লেক্স মাঠে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। আগেও একাধিক জেলায় ভোটদানের সময় গণ্ডগোল ঘিরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। তৃণমূল এখন এই বিশৃঙ্খলা কী ভাবে নিয়ন্ত্রণ করে সেটাই দেখার।