বুধবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ বালুভোরট, বিষ্ণপুর, গিধিনপুকুর, মল্লিকপুর, মহেন্দ্রপুর, পেমা, জনমদল ও রনথল এলাকার প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষ বিলাসী মার্কেট সংলগ্ন এলাকায় রানীটোলা লোপোখর মাঠে জমায়েত হন। তীব্র গরমের হাত থেকে রক্ষা পেতে আল্লাহার কাছে প্রার্থনা করেন তাঁরা। এদিন ইসতিসকার নমাজের ইমামতি করেন বিহার থেকে আগত মুফতি সাদ্দাম হোসেন।
ইমাম মুফতি সাদ্দাম হোসেন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘আল্লাহ হয়তো কোনও কারণে আমাদের উপর অসন্তুষ্ট হয়েছেন। সেই কারণেই এখানে তীব্র গরম পড়েছে। কিন্তু মানুষের অপরাধের কারণে পশু-পাখিরাও কষ্ট পাচ্ছে। অনাবৃষ্টির কারণে মাঠের ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই আমরা আজ ইসতিসকার নমাজ আদায় করে আল্লাহ কাছে ক্ষমা চেয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘নমাজ শেষে আধঘণ্টা বৃষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে আমরা প্রার্থনা করেছি। রাজ্যজুড়ে যে দাবদাহ ও গরম পড়েছে তা যেন আল্লাহ কমিয়ে দেন। আমাদের উপর আল্লাহ যেন করুণা করেন।’
আব্দুল মান্নান নামে স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘আজকে রানীটোলার মাঠে আমরা বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ একত্রিত হয়ে নমাজ পড়লাম। এই গরমে মানুষের অবস্থা খুবই খারাপ। কোনও টিউবওয়েলে জল উঠছে না, ফসল ঝলসে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ব্লক অফিস থেকে জল দেওয়া হলেও, তাতে সাময়িক সমস্যার সমাধান হচ্ছে। সেই কারণে আসে পাশে এলাকার বহুমানুষ আমরা এখানে একত্রিত হয়ে নমাজ পড়েছিল। আল্লাহকে বলেছি, উনি যেন আমাদের সকল পাপ ক্ষমা করে দিয়ে বৃষ্টির ব্যবস্থা করেন। আমরা যেন সুখী হয়, মানুষ থেকে ফসল সব যেন বেঁচে থাকে।’
অন্যদিকে এখনও কোনও সুখবর শোনাতে পারেনি আলিপুর আবহাওয়া দফতর। হাওয়া অফিস জানিয়েছে ১০ তারিখ অবধি বঙ্গে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা খুবই কম। দক্ষিণবঙ্গের বেশির ভাগ জেলা ও উত্তরবঙ্গের মালদা ও উত্তর দিনাজপুরে প্যাচপ্যাচে গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া বজায় থাকবে। এখন তাপমাত্রা কবে কমে এবং বর্ষা কবে বঙ্গে প্রবেশ করে সেটাই এখন দেখার।