সেই মতো এদিন সকাল থেকেই গোঘাট ও আরামবাগে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ বনধ শুরু করেন। আরামবাগের পল্লীশ্রী মোড়ে ও গোঘাটে চলে বনধ। প্রসঙ্গত, এসটি তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে সিআরআই রিপোর্টের ওপর রাজ্যের তরফে জাস্টিফিকেশন পাঠাতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে, এই দাবিকে সামনে রেখে একটানা আন্দোলন জারি রেখেছেন কুড়মি জনজাতির মানুষেরা। আর তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখতে দেখতে শুরু করেছেন আদিবাসীরা।
কুড়মিদের আন্দোলনের কাছে রাজ্য সরকার নতিস্বীকার করে সিআরআই রিপোর্টে বদল ঘটাতে পারে, এমন আশঙ্কা থেকে এবার আদিবাসীরা রাজ্য সরকারকে পালটা চাপে রাখতে চাইছেন। তাই বনধের এই কৌশল। এমনটাই জানিয়েছেন আদিবাসীদের যৌথ মঞ্চের একাধিক নেতা।
তাঁদের মুলত দাবি, অ-আদিবাসীদের অনৈতিকভাবে জোরপূর্বক এসটি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা চলবে না এবং সরকারি ভাবে ভুয়ো এসটি পরিচয় পত্র প্রদান বন্ধ করতে হবে। এদিনের বনধের জেড়ে রাস্তায় সারি সারি গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ে। প্রচণ্ড গরমে নাজেহাল অবস্থা হয় সাধারণ মানুষের।
যদিও জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত গাড়িগুলিকে ছাড় দেয় ভারত জাকাত মাঝি পরগনা মহল। সবমিলিয়ে আদিবাসীদের ডাকা বন্ধের জেরে আরামবাগের পল্লী শ্রী মোড় ও গোঘাটে উত্তেজনা রয়েছে। এক বাসযাত্রী জানান, “সকালে বেরিয়েছিলাম বাস ধরব বলে। কিন্তু হরতালের কারণে দেখলাম চলছে না। এবার গন্তব্যস্থলে কিভাবে পৌঁছব সেই নিয়ে চিন্তা হচ্ছে।”
এদিনের বনধ প্রসঙ্গে এক বনধ সমর্থনকারী জানিয়েছেন, “আমাদের আন্দোলন নীতি, আদর্শের। অনৈতিকভাবে CRI রিপোর্ট পরিবর্তনের মাধ্যমে কুড়মিদের ST তালিকায় অন্তর্ভুক্তিকরণের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধেই বাংলা বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে।”
এদিন হুগলি জেলায় দেখা গিয়েছে, সকাল থেকেই কোনও বেসরকারি বাস চলাচল করছে না৷ শুনসান গোঘাট পাবলিক বাসস্ট্যান্ড চত্ত্বর। বনধ সফল করতে চক মোড়, থানা মোড় সহ এখানকার বিভিন্ন এলাকায় পিকেটিং শুরু হয়েছে। এদিকে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে গোঘাট শহর সহ জেলা জুড়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।