সিটকে পুলিশের তরফে কোনও সাহায্য করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছে আদালত। এমন চলতে থাকলে রাজ্য নিজের বিপদ ডেকে আনবে বলেও এদিন হুঁশিয়ারি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার রাজ্যের আচরণ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। ক্ষুব্ধ বিচারপতি বলেন, ‘কালিয়াগঞ্জের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কি রাজ্য খুশি হবে? আদালতের কাছে এটা স্পষ্ট, সিট যাতে কাজ করতে না পারে রাজ্য সেই চেষ্টা করেছে। একই সঙ্গে ইচ্ছে করে আদালতের নির্দেশ অমান্য করা হয়েছে।’
ক্ষুব্ধ বিচারপতি আরও বলেন, ‘যেখানে ডিভিশন বেঞ্চে কোনও স্থগিতাদেশ নেই সেখানে আদালতের নির্দেশ মানা রাজ্যে উচিত ছিল। রাজ্যের এইধরনের আচরণ অপ্রত্যাশিত।’ রাজ্যের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে আদালত। ১১-মে নির্দেশ কেন সরকার অমান্য করেছে সেই নিয়ে স্বরাষ্ট্রসচিবকে রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি দময়ন্তী সেনের বদলে অন্য কাউকে সিটের সদস্য করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
রাজ্যের আইনজীবী অমল সেন বলেন, ‘রাজ্য এব্যাপারে কিছু জানেনা। মামলাটি ডিভিশন বেঞ্চে উল্লেখ হয়েছিল। তখন অবসরকালীন বেঞ্চ ছিল। সেই বেঞ্চে মামলা গৃহীত হয়নি। আগামী সপ্তাহে যে কোনও দিন শুনানি হোক। তার মধ্যে ডিভিশন বেঞ্চে আবার যাওয়া হবে।’
রাজ্যের আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি মান্থা বলেন, ‘এটা কি ধরণের আচরণ? রাজ্য সব জানে। রাজ্য কিছু জানে না, এই যুক্তি গ্রাহ্য নয়। ইচ্ছে করে আদালতের রায় মানা হয়নি। সিবিআই দেব না কি? তাহলে খুশি হবেন? ডিভিশন বেঞ্চের কোনও স্থগিতাদেশ নেই। তাহলে কেন নির্দেশ মানেননি? সিটের সদস্যরা বর্ষীয়ন আধিকারিক ছিলেন। রাজ্যের এহেন আচরণে তাঁরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।’
আদালতে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট পেশ করে সিট। সিটের সদস্য উপেন বিশ্বাস এদিন আদালতে বলেন, ‘সব তথ্যের স্ক্রুটিনি করা হয়েছে।’ আমাদের কেউ সাহায্য করেনি। যদি ওই পরিবারের বিশ্বাস ও রাজ্যবাসীর বিশ্বাস ফেরত আনতে হয় তাহলে রাজ্য পুলিশের উপর নির্ভর করলে হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘দময়ন্তী সেন অসুস্থতার কারণে সিটের সদস্য হয়েও কাজে যোগ দেননি। পরে দেখা গেল রাজ্য তাঁকে ব্যারাকপুরে বদলি করে দিয়েছে। রাজ্যের কোন সৎ উদ্দেশ্য থাকলে আদালতের অনুমতি ছাড়া কীভাবে এটা সম্ভব? সিবিআই ছাড়া এই তদন্ত সম্ভব নয়’। যাতায়াতের খরচও দেওয়া হয়নি তাদের, এই অভিযোগও করেন সিটের দুই সদস্য। আগামী বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটায় শুনানি।