TMC Party Office : অবশেষে ধূলিসাৎ হয়ে গেল বড়ঞার জেলবন্দি তৃণমূল বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহার সাধের তৃণমূল কার্যালয়। পাঁচটি বুলডোজার দিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দলীয় কার্যালয় ভাঙার প্রক্রিয়া শুরু হয়। যদিও এদিন পার্টি অফিস ভাঙতে গিয়ে কোনও বাধার মুখে পড়তে হয়নি প্রশাসনের কর্তাদের। কার্যত অবাধে চলেছে ভাঙার কাজ। গত ২৪শে মে আদালতের নির্দেশে পার্টি অফিস ভাঙতে গিয়ে বাধার মুখে পড়ে পিছু হটতে হয়েছিল প্রশাসনের কর্তাদের। আইনি জটিলতা কাটার পর আজ সম্পন্ন হতে চলেছে সেই কাজ।

Trinamool Congress: ‘পার্টি করতে হলে মুচলেকা দিতে হবে…’, দলের শৃঙ্খলা রক্ষায় কড়া নিদান তৃণমূল নেত্রীর
অবশ্য এই ভবনটিকে দলীয় কার্যালয় বলে মানতে রাজি নন ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা বড়ঞা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মাহে আলম। তিনি বলেন, “ওই ভবনটি কোনও দলীয় কার্যালয় নয়। কেউ যদি ব্যক্তিগতভাবে কোনও ভবন নির্মাণ করেন, সেটাকে দলের সম্পত্তি বলা যায় না। কাজেই এই ভবন ভাঙা নিয়ে দলের তরফে কোনও বক্তব্য নেই”।

Recruitment Scam : বিধায়কের বিছানার নীচে চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা! সিঁদুর কৌটোয় পেনড্রাইভের হদিশ
বড়ঞা ব্লকের হিমঘর মোড়ে মাস ছয়েকের মধ্যে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নির্মাণ করা হয়েছিল ব্লক তৃণমূল কার্যালয়। কার্যালয় বললে কম বলা হবে। দ্বিতল এই কার্যালয়কে বলা যেতে পারে ইমারত। বেশ কয়েকটি ঘর ভাড়াও দেওয়া হয়েছিল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হিসাবে। প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভবনটি নির্মাণ হয়েছিল বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহার নেতৃত্বে।

TMC Building: হাইকোর্টের নির্দেশে তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ নেতৃত্বে তৈরি তৃণমূল কার্যালয় ভাঙল বুলডোজার
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জীবন কৃষ্ণ সাহা এখন জেল হেফাজতে রয়েছেন। আর এই মূহূর্তে ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হল জীবনের সাধের প্রসাদ থুড়ি দলীয় কার্যালয়। প্রসঙ্গত বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ ওঠার পর হাইকোর্টের নির্দেশে মুর্শিদাবাদের বড়ঞা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের আফ্রিকা মোড়ের সাতটি দোকান সম্প্রতি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

Jiban Krishna Saha : পুকুরে ফোন ফেলার পিছনে লুকিয়ে কোন রহস্য? আদালতে জানালেন জীবনের আইনজীবী
স্থানীয় সূত্রে খবর, তারই মধ্যে একটিতে মাঝেমধ্যে বসতেন নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত তৃণমূল বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহা। এই দোকান ঘরটিকেই নাকি নির্বাচনী কার্যালয় হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন তিনি। জানা যাচ্ছে, মুর্শিদাবাদের বড়ঞা ব্লকের আফ্রিকা মোড় সংলগ্ন এলাকায় ২০২১ সালে নির্মিত হওয়া ভবনটি বিধায়ক কার্যালয় তথা তৃণমূল ভবন নামেই পরিচিত ছিল।

তবে ভবনটি নির্মাণ হওয়ার পরই স্থানীয় এক বাসিন্দা এই ভবনটি সরকারি জায়গায় রয়েছে বলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। গত বছর ডিসেম্বরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের নির্দেশ মতোই ভবনটি ভাঙার জন্য সমস্ত প্রস্তুতি শুরু হয়। তবে ভবনটি ভাঙতে গিয়েই প্রশাসন ও পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয় পূর্ত দফতরকে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version