ওডিশার বালেশ্বরের করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার এক সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। কিন্তু এখনও ভয়াবহতার ছবি ফিকে হয়নি। রেল দুর্ঘটনায় সাত দিন কেটে যাওয়ার পর মৃতদেহ হাতে পেয়েও ফিরিয়ে দিতে হল পরিবারকে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপে এই ঘটনা ঘটেছে। কারণ যাঁর দেহ এসেছে, তা ওই পরিবারের সদস্যের দেহ নয় বলেই জানা গিয়েছে।

Coromandel Express Accident : বোনের বিয়েতে আসা হল না! ওডিশার মর্গে মিলল মালদার যুবকের মুণ্ডুকাটা দেহ
ওডিশার রেল দুর্ঘটনায় সাত দিন কেটে যাওয়ার পরেও কাকদ্বীপ বিধানসভার অন্তর্গত মধুসূদনপুর ৬৪ নম্বর বুথের পাঁচ সদস্যের মধ্যে দু’জনের দেহ শনাক্তকরণের শেষে বাড়িতে ফিরলেও, বাকি তিনজনের দেহ এখনও পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার বিকেলে বালেশ্বর এলাকা থেকে একজনের দেহ কাকদ্বীপে নিয়ে আসা হয়। মৃত সামসুল হুদা শেখ নামে বছর তিরিশের এক যুবকের দেহ বলে জানা যায়। কিন্তু সুদূর ওডিশা থেকে দেহ এলেও তা গ্রহণ করতে পারল না পরিবার।

Balasore Accident : বেওয়ারিশ লাশ শনাক্তকরণে DNA নমুনা সংগ্রহ, ভুবনেশ্বর AIIMS-এ বাংলার হেল্প ডেস্ক
মৃতের বাড়ির লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কাকদ্বীপ পুলিশ মর্গে ময়নাতদন্ত করার সময় মৃতদেহের পোশাকের মধ্যে থেকে আধার কার্ড পাওয়া যায়। উদ্ধার হওয়ার আধার কার্ড থেকে জানা যায় এটি বিহারের বাসিন্দা রাজা সাহানিয়ার দেহ। মৃত শেখ সামসুল হুদার দেহ এটা নয়। সামসুল হুদার পরিবার এই দেহ নিতে অস্বীকার করে। অগত্যা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাতে মৃতদেহটি পুনরায় ওডিশার বালেশ্বরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সামসুল ছাড়াও শেখ আব্দুল মাজিত (৪৭) ও গিয়াসউদ্দিন শেখ (৩৪) নামে দু’জনের দেহ এখনও নিখোঁজ। দুর্ঘটনার সাতদিন পরেও তিনজনের দেহ ফিরে না পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবার। মৃতদেহ শনাক্তকরণে গাফিলতির অভিযোগ করেছেন নিখোঁজদের পরিবার। দেহের সঠিক শনাক্তকরণ হচ্ছে না কেন, এই দাবিতে সরব হয়েছে এলাকাবাসী।

Naveen Patnaik on Coromandel Express : ‘সকালেই যাচ্ছি!’ করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ ওডিশার মুখ্যমন্ত্রীর
পরিবারসহ এলাকার মানুষজন লোকজনের দাবি, বিগত সাত দিন কেটে যাওয়ার সত্ত্বেও এখনও অবধি যদি মৃতদেহের কোনও হদিশ না পাওয়া যায়, তবে কবে পাওয়া যাবে দেহ? পরিবারের লোকজনের প্রশ্ন, মৃতদের কী শেষবারের মতো চোখে দেখার সুযোগও পাবেন না তারা?

বালেশ্বর থেকে দেহ দেখেই আমরা নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু ময়নাতদন্তের সময় ওঁর কাছ থেকে এটা আধার কার্ড পাওয়া যায়। আধার কার্ডে পাওয়া নাম দেখে জেনেছি এটা আমাদের পরিবারের সদস্য নয়। আমরা হাসপাতালকে জানাই, এটা যদি আমাদের পরিবারের সদস্যের দেহ হয়, তবে যাচাই করে তা আমাদের হাতে তুলে দেওয়া হোক, নইলে যাঁদের দেহ তাদের ফিরে দেওয়া হোক।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version