এই সময়, শিলিগুড়ি: পাহাড়ের রাজনীতিতে পায়ের নীচের মাটি ফিরে পেতে সেই বিজেপির সঙ্গেই হাত মেলালেন বিমল গুরুং। রবিবার দার্জিলিং জিমখানা ক্লাবে আয়োজিত এক সাংবাদিক বৈঠকে ইউনাইটেড গোর্খা অ্যালায়েন্স (ইউজেএ)-এর ঘোষণা করা হয়। ওই মহাজোটে বিজেপি এবং জোটসঙ্গী জিএনএলএফ, সিপিআরএম ছাড়াও যোগ দিয়েছে বিমল গুরুংয়ের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা এবং অজয় এডওয়ার্ডসের হামরো পার্টি। যদিও জিএনএলএফ নেতা মন ঘিসিং, বিধায়ক নীরজ জিম্বা সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না।

Mamata Banerjee : লক্ষ্য বিনিয়োগ, আজ পাহাড় সফরে মমতা! শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা
দিল্লিতে প্রায় পক্ষকাল কাটিয়ে দিন কয়েক আগেই পাহাড়ে ফিরেছেন বিমল গুরুং। শনিবার শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তের বাড়িতে গিয়ে বৈঠকের পরে নৈশভোজেও অংশ নেন তিনি। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বিমল গুরুংয়ের মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি বলেন, ‘মহাজোট তৈরি করা হলো যাতে পাহাড়ে যে স্বৈরাচারী শাসন চলছে তার অবসান করা সম্ভব হয়।’

Mamata Banerjee : ৩ দিনের দার্জিলিং সফর বাতিল মমতার, কী কারণে ‘চটজলদি’ সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রীর?
তবে গোর্খাল্যান্ডের দাবি থেকে তাঁরা যে সরে আসেননি সে কথা এদিনও স্পষ্ট করে দেন বিমল গুরুং। এই মহাজোট যে কেবলমাত্র পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা ভেবেই তৈরি করা হয়েছে, সে কথা স্পষ্ট করে দেন রোশন গিরি। মহাজোট সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি কোঅর্ডিনেশন কমিটি তৈরি করা হবে। সোমবার থেকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।

২০০৭ সালে ষষ্ঠ তফসিলের বিরোধিতা থেকেই গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা বিজেপির ঘনিষ্ঠ হয়। মোর্চার সঙ্গে জোট গড়েই ২০০৯, ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে দার্জিলিং লোকসভা আসনটি নিজেদের দখলে রাখতে সফল হয় বিজেপি। ২০২০ সালে বিজেপি-সঙ্গ ত্যাগ করে মোর্চা পাহাড়ের রাজনৈতিক সমস্যার স্থায়ী সমাধান নিয়ে ঢিলেমির অভিযোগ তুলে।

West Bengal Panchayat Election 2023 : ‘তৃণমূলই প্রস্তুত নয়…’, প্রথম দিনে মনোনয়নের বহর দেখে খোঁচা BJP সাংসদের
২০১৭ সালে তৃণমূলের হাত ধরে বিমল পাহাড়ে ফেরেন। কিন্তু ততদিনে পাহাড়ের রাজনৈতিক জমি বিমল গুরুংয়ের হাত থেকে চলে গিয়েছে অনীত থাপার হাতে। জিটিএ নির্বাচনে অনায়াস জয় পান অনীত থাপা। দার্জিলিং পুরসভা নির্বাচনে হামরো পার্টি জয় পেলেই কয়েক মাসের মধ্যেই হাতছাড়া হয়ে যায়। অনীত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার মুখপাত্র জ্যোতি মুখিয়া বলেন, ‘আগে মহাজোট সমস্ত আসনে প্রার্থী তো দিক! জিএনএলএফ তো এখনই বিগড়ে গিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। বিমল গুরুং আর পাহাড়ে নিজের জমি ফিরে পাবেন বলে মনে হয় না।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version