তা দেখেই নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলেন বিরোধীরা। তাঁদের দাবি, নমিনেশন কেন্দ্র থেকে এক কিলোমিটার এলাকায় যেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে, সেখানে মন্ত্রী কিভাবে এত লোক নিয়ে প্রবেশ করলেন? প্রশ্ন বিরোধীদের।
CITU রাজ্য কমিটির সদস্য শম্ভু চট্টোপাধ্যায় বলেন, “নিরাপত্তা রক্ষী নিয়ে প্রবেশ করাটা ঠিক হয়নি। আমরা এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। এত লোক নিয়ে মন্ত্রী এসেছেন। এটা নির্বাচনী বিধিভঙ্গ। এমন কাজ তিনি করতে পারেন না। প্রশাসন কীভাবে সম্মতি দিচ্ছে, সেটাই আমাদের প্রশ্ন।”
BJP নেতা প্রণব মণ্ডল বলেন, “নির্বাচনের আচরণবিধি যেখানে চলছে সেই জায়গায় নিরাপত্তা রক্ষী নিয়ে প্রবেশ করে তিনি প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন।” অন্যদিকে তাঁর বিরুদ্ধে উঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন, “আমি একজন সাধারণ মানুষ। নমিনেশন কেমন চলছে দেখতে এসেছিলাম, আমাকে দেখে মানুষ এগিয়ে আসলে আমি তাদেরকে বারণ করতে পারি না। আমি সবাইকেই বলেছি কোনও অসুবিধা হলে নির্দ্বিধায় আপনারা ফোন করবেন, বলবেন। CPIM কংগ্রেস সকল নেতার সঙ্গেই কথা হল। সবাইকে বলেছি, কোনও অসুবিধা হলে আমাকে জানাবেন। বাকি সব সুষ্ঠুভাবেই হচ্ছে।”
সূত্রের খবর, এই এলাকায় মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে আলাদা করে অশান্তি কিংবা উত্তেজনার অভিযোগও সেভাবে দেখা যায়নি। যদিও সরকারি দফতরের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও কর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন মন্ত্রী। সবার সঙ্গেই হেসে কথা বলেন।
এমনিতেই BDO অফিস চত্বরে ১৪৪ ধারা জারি। সেখানে জমায়েত যাতে না হয়, তার জন্য পুলিশ মোতায়েন। কিন্তু অভিযোগ, তা উপেক্ষা করেই তিনি BDO অফিসের ভিতর ঢুকে পড়েন। এই বিষয় নিয়ে পানপুর ব্লক-১ এর BDO রাজশ্রী চক্রবর্তী বলেন, “ঘটনাটি আমি শুনেছি। ঠিক কি হয়েছে তা আমি জানি না।”
তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন।