যা ভারতে রাখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অবৈধ কোরাল পাওয়ার পর বন দফতর জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন। সেই রাতেই টিম আসে। রাতভর এই তল্লাশি অভিযান চলে”। কোরাল যা বাংলা ভাষায় প্রবাল নামে পরিচিত। প্রবাল যেটি হল একটি সামুদ্রিক প্রাণী। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ডিসট্রিক্ট ফরেস্ট অফিসার জানান, “এই কোরাল ভারতে রাখা পুরোপুরি বেআইনি। এগুলোই খড়দহ পুরসভা এলাকায় এক ব্যক্তি বিক্রি করছিলেন। এগুলোকে আমরা আটক করি এবং তিনখানা বড় অ্যাকুরিয়াম বাজেয়াপ্ত করা হয়। এছাড়াও একাধিক পাখি ওই দোকান থেকে আটক করা হয়।
যা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেইসব পাখি রাখার কোনও বৈধতা ওই ব্যক্তির আছে কি না”। যে কোরাল উদ্ধার হয়েছে তার বাজারে আনুমানিক এক কোটি টাকার মতো দাম। এই ব্যবসার সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত আছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই বিষয়ে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, “আমার দোকানের কাছেই ওই দোকান ছিল।
অনেকদিন ধরেই ব্যবসা করছেন। কিন্তু নিষিদ্ধ জিনিস রাখার বিষয়ে আমরা জানতাম না। হঠাৎ করে মঙ্গলবার কিছু সরকারি আধিকারিক ওই দোকানে হানা দেন। তারপরই আমরা গোটা ঘটনা জানতে পারি”। প্রবাল হল অ্যান্থজোয়া শ্রেনীভূক্ত সামুদ্রিক প্রাণী। এরা প্রাণী হলেও, জীবনের পূর্ণবয়স্ক অবস্থায় সাগরতলে কোন দৃঢ় তলের উপর গেড়ে বসে বাকি জীবন পার করে দেয় নিশ্চল হয়ে।
প্রতিটি প্রবাল পলিপ যেখানে গেড়ে বসে সেখানে নিজের দেহের চারপাশে ক্যালসিয়াম কার্বনেট নিঃসরণের মাধ্যমে শক্ত পাথুরে খোলস বা বহিঃকঙ্কাল তৈরি করে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২২ সালে জলপাইগুড়ি জেলা থেকেও এরকম নিষিদ্ধ কোরাল উদ্ধার করা হয়েছিল।