পঞ্চয়েত ভোটের আগেও আরও একটি রাজনৈতিক খুন। মালদার কালিয়াচকে তৃণমূল নেতাকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় অভিযোগের তির কংগ্রেসের দিকে। যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে কংগ্রেস। মৃত তৃণমূল নেতার নাম শেখ মোস্তাফা। তিনি সুজাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বলেই জানা গিয়েছে। তৃণমূল নেতার মৃত্যুর পর কান্নায় ভেঙে পড়েছে তাঁর পরিবার। অবিলম্বে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

WB Panchayat Election : প্রচার সেরে ফেরার পথে তৃণমূল নেতাকে খুনের অভিযোগ! মনোনয়নের শেষ দিনেও ঝরল রক্ত
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে শনিবার দুপুরট দেড়টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটেছে। মোস্তাফাকে এবারও টিকিট দিয়েছিল তৃণমূল। ইতিমধ্যেই তিনি মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এদিন ছিল মনোনয়ন পত্রের স্ক্রুটিনি। স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন স্ক্রুটিনি সেরে বাড়ি ফেরার সময় আক্রমণের মুখে পড়েন এই তৃণমূল নেতা। তাঁকে রাস্তায় ফেলে লাঠি, রড ও বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে খবর, মারে গুরুতর জখম হন এই তৃণমূল নেতা। তাঁকে আহত অবস্থায় মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছেন তৃণমূল কর্মীদের একাংশ।

Panchayat Election : বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেস গেল এক গাড়িতে, মনোনয়নে গুলিও
গোটা ঘটনায় কংগ্রেসের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। এদিন মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেন মন্ত্রী। সাবিনা বলেন, ‘অনেকে অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে তৃণমূলে ঢুকে ছিল। তাদের দল টিকিট দেয়নি। টিকিট না পেয়ে তারা কংগ্রেসে যোগ দেয়। তারাই আজকে আমাদের দলের পঞ্চায়েত প্রধানকে পিটিয়ে খুন করেছে। যারা খুন করেছে তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। আমরা এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাই। দোষীদের গ্রেফতার করার জন্য প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করব। কঠোরতম শাস্তির বন্দোবস্ত করা হোক।’

এই নিয়ে এখনও কোনও কংগ্রেসে নেতার প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে কংগ্রেসের কোনও যোগ নেই। ব্যক্তিগত আক্রোশের কারণে তৃণমূল নেতাকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে বলেই জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।

West Bengal Panchayat Election : গাড়ি থামিয়ে ৭ বাম-কংগ্রেস কর্মীকে অপরহণ! মনোনয়ন ঘিরে চাঞ্চল্য চোপড়ায়
পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা হতে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে সন্ত্রাস। নির্বাচন ঘোষণার পর দিনই মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে খুন হন কংগ্রেস কর্মী। তারপরই ওই জেলার নবগ্রামে তৃণমূলকর্মীকে খুন করা হয়। সম্প্রতি মনোনয়ন পর্বকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। সেখানে গুলিতে ১ আইএসএফ ও ২ তৃণমূলকর্মীর মৃত্যু হয়। এখনও অবধি সন্ত্রাসের বলি ছয়জন। নির্বাচন কতটা সন্ত্রাসহীন হবে, সেই প্রশ্ন উঠছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version