সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষ বলেন, ‘ওই এলাকায় হুমকির জন্য নয়, তফসিলি জাতি-উপজাতি-ওবিসি সংরক্ষণ, শংসাপত্রের সমস্যা ইত্যাদি কারণে কিছু জায়গায় মনোনয়ন দেওয়া যায়নি। আমার গ্রামেই এমন একটি সমস্যা হয়েছে। তবে ওই গ্রামে বাকি দু’টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে দল। যার মধ্যে একটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আমার ভাইয়ের স্ত্রী।’
গড়বেতা-৩ ব্লকের ৪ নম্বর উড়াসাই গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যেই পড়ে বীরসিংপুর-বেনাচাপড়া গ্রাম। যে গ্রামে বাড়ি সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষের। ৩টি বুথের ৪টি পঞ্চায়তের আসন। ৪টি আসনের মধ্যে ২টি আসনে মনোনয়ন জমা দিলেও, সুশান্ত ঘোষ নিজে যে বুথের ভোটার অর্থাৎ বেনাচাপড়া ১৮৬ নম্বর বুথে প্রার্থী দিতে পারল না সিপিএম।
ফলে তফসিলি জাতি মহিলা সংরক্ষিত এই বুথে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হলেন তৃণমূল প্রার্থী ময়না রায়। ১৮৭ নম্বর সাধারণ মহিলা সংরক্ষিত আসনে সিপিএমের প্রার্থী হয়েছেন সুশান্ত ঘোষের জ্যেঠতুতো ভাইয়ের স্ত্রী অনিমা ঘোষ। তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূলের প্রার্থী রয়েছেন সুজলা ঘোষ। গ্রামের ১৮৮ নম্বর তফসিলি উপজাতি সংরক্ষিত আসনেও প্রার্থী দিতে পারেনি সিপিএম। ওই আসনে তৃণমূলের প্রার্থী অলোকা হাঁসদা জয়ী হয়েছেন বিনা যুদ্ধে। পাশের ১৮৮ নম্বর বুথের সাধারণ মহিলা সংরক্ষিত আসনে সিপিএম-এর প্রার্থী অপর্ণা কোলে। অপর্ণার বিরুদ্ধে তৃণমূলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শিল্পা প্রতিহার।
গড়বেতা-৩ ব্লকে ৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন ১৫১টি। যার মধ্যে সিপিএম মনোনয়ন জমা দিয়েছিল ৯২টি আসনে। সিপিএম-এর অভিযোগ, চাপের মুখে দু’জন মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। ফলে সিপিএম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে ৯০টি আসনে। আবার পঞ্চায়েত সমিতির মোট আসন ২৪টি। যেখানে সিপিএম মনোনয়ন জমা দিয়েছিল ২২টি আসনে। একটি মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় লড়াই হচ্ছে ২১টি আসনে। জেলা পরিষদের ৩টি আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে সিপিএম। এলাকার তৃণমূল নেতা পবন সাউ বলেন, ‘ভয় তো বিরোধীদের নয়। ভয় নিজের দলের গোঁজ প্রার্থীদের। লড়াই করে যাচ্ছি।’