ত্রিস্তর গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে তপ্ত বীরভূম। দলের জেলা সভাপতি বর্তমানে তিহার জেলে। এমত অবস্থায় তৃণমূলের কর্মী অনেক কর্মীরাই দলীয় সিম্বলের টিকিট না পাওয়াই নির্দল প্রার্থী হয়েছে। বীরভূম জেলায় প্রায় ৩০ জন তৃণমূলের কর্মীরা নির্দলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী করছে। এই ৩০ জন তৃণমূল কর্মীকে দল থেকে বহিষ্কার করল জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
বীরভূমের খয়রাশোল, দুবরাজপুর, মুরারয়, সিউড়ি, রামপুরহাট এবং রাজনগর এই ছটি ব্লক থেকে ৩০ জন তৃণমূল কর্মী নির্দল এ মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। দলগতভাবে এই সমস্ত তৃণমূল কর্মীদের সতর্ক করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল মনোনয়ন প্রত্যাহার করার জন্য। তবুও তারা নির্দল হয়েই তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বী করছে।
খুব স্বাভাবিকভাবেই দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ৩০ জন তৃণমূল কর্মীকে দল থেকে সম্পূর্ণভাবে বহিষ্কার করল জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। একাধিক জেলাতেই নির্দল প্রার্থী নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। নির্দল হয়ে দাঁড়ালে যে কোনওভাবেই রেয়াত করা হবে না, সেটা আগেই নব জোয়ার কর্মসূচিতে গিয়ে ঘোষণা করে দিয়ে এসেছিলেন তৃণমূলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, মনোনয়ন পর্ব শেষ হওয়ার পর দলের শীর্ষ নেতৃত্ব কালীঘাটে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে বৈঠকে বসে। সেখানেই জানিয়ে দেওয়া হয়, যে সব তৃণমূল নেতৃত্ব দলের টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন, তাঁদের বহিষ্কার করা হবে। মনোনয়ন তুলে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরেও যাঁরা তুলছে না, তাঁদের শেষ পর্যন্ত দলে জায়গায় হবে না। সেরকমই পথে একের পর এক জেলায় হাঁটতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।