উত্তর ২৪ পরগনার বেলঘরিয়ার পূব পাড়ায় উদ্ধার ব্যক্তির পচাগলা দেহ। মৃতের নাম বীরেন্দ্র কুমার দে। একই বাড়িতে উদ্ধার একটি কঙ্কালও। মনে করা হচ্ছে কঙ্কালটি মৃতের ভাই ধীরেন্দ্র কুমার দে-এর। এলাকাবাসী এবং পুলিশের প্রাথমিক অনুমান হয়ত ৫-৬ মাস আগেই মৃত্যু হয়েছে ধীরেন্দ্র কুমার দে-এর। সেই দেহই এতদিন আগলে রেখেছিলেন বীরেন্দ্রবাবু। এবার তাঁরও মৃত্যু হল।

Robinson Street Partha De : দেহ আগলানোর ঘটনা ঘটলেই রবিনসন স্ট্রিট প্রসঙ্গ! কী ঘটেছিল অভিশপ্ত বাড়িতে?
যদিও এটাই প্রথম নয়, সেই রবিনসন স্ট্রিট কঙ্কালকাণ্ড থেকে শুরু করে শহর কলকাতা হোক বা জেলা, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বারেবারেই ঘটেছে এই ধরনের ঘটনা। কিন্তু কেন? ঠিক কোন মানসিক পরিস্থিতিতে নিকটজনের দেহ সৎকার না করে বাড়িতেই রেখে দেন মানুষ? ঠিক কোন ভাবনা থেকে বাস করতে শুরু করেন আপনজনের কঙ্কালের সঙ্গে?

North 24 Parganas News : ব্যক্তির পচাগলা দেহ উদ্ধার, পাশের ঘরেই মিলল কঙ্কালও! বেলঘরিয়ায় চাঞ্চল্য
এই প্রসঙ্গে সাইক্রিয়াটিস্ট তথা ন্যাশানাল মেডিক্যাল কলেজের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসার ডাক্তার শর্মিলা সরকার বলেন, ‘এই ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে প্রথমেই দেখা দরকার তাঁর সাইকোলজিক্যাল কোনও সমস্যা আছে কি না। নিশ্চয় কোনও একটা সমস্যা থাকে। যদি একজন আর এক জনের ওপর খুব বেশি নির্ভরশীল হন, বাকিদের সঙ্গে যদি সম্পর্ক খুব বেশি না থাকে, হয়ত বাইরের বন্ধুদের সঙ্গে খুব একটা সম্পর্ক নেই, পাড়া প্রতিবেশীদের সঙ্গে খুব একটা সম্পর্ক নেই, তখন একজনের মৃত্যু হলে অপরজনের তাঁকে আঁকড়ে ধরে থাকার প্রবণতা খুব বেশি তাকে। এটা সাধারণত সুস্থ মানুষ হলে খুব একটা করবে না, কিন্তু মানসিক সমস্যা থাকলে এমনটা করতে পারে। সেটা হতে পারে গভীর অবসাদ বা স্কিৎজোফ্রেনিয়া জাতীয় কোনও অসুখও।’

Silajit : ‘ডাউন লাগছে?’ অভাবী অথচ সদাহাস্য রাজুর গল্প শুনিয়ে হতাশা কাটানোর টিপস শিলাজিতের
এক্ষেত্রে এই ধরনের ঘটনার নেপথ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় অতিরিক্ত সময় কাটানো বা বিচ্ছিন্ন জীবনযাপনের মতো বিষয়গুলিও কারণ হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করেন ডাক্তার শর্মিলা সরকার। তিনি বলছেন, ‘আগে মানুষ পাশের বাড়ির লোকের খোঁজখবর নিতেন, এখন মানুষ খুব বেশি একা থাকেন। এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় একে অপরের খোঁজখবর নিই। কিন্তু আমার পাশের বাড়িতে, পাশের ঘরে কী হচ্ছে সেই খোঁজটা নিই না। আর সেই কারণেই হয়ত আরও বেশি করে এই ঘটনাগুলো দেখা যাচ্ছে। আগেও হয়ত অনেকের এই মানসিক সমস্যা ছিল। কিন্তু যেহেতু আগে একে অপরের সঙ্গে মেলামেশা বেশি ছিল, সেই জন্য এগুলো এতটা গুরুতর পর্যায়ে যেত না।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version