ঠিক কী জানিয়েছেন কুণাল ঘোষ?
তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি টুইট করেন। এই টুইটে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগও করেন। তিনি লেখেন, “নিউটাউনের বাজারে ট্রাফিক ফাইন ৫০০ টাকা যেটি এনকেডিএ চালু করেছিল, তা আপত্তিকর, বিভ্রান্তিকর ও জনবিরোধী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা জানতেন না। মানুষের হয়রানির কথা জানতে পেরেই তাঁর নির্দেশ, এই ফাইনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার ও বাতিল হল। পুলিশকেও জানানো হয়েছে।”
কুণাল ঘোষের এই টুইট নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত এনকেডিএ-র তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া সম্ভব হয়নি। ফিরহাদ হাকিমও এখনও পর্যন্ত এই প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করেননি।
কলকাতা পুরসভার বর্ধিত পার্কিং ফি নিয়ে বিতর্ক…
উল্লেখ্য, চলতি বছর ১ এপ্রিল থেকে কলকাতায় বর্ধিত পার্কিং ফি বলবৎ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পুরসভা। কিন্তু, একধাক্কায় পার্কিং মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে সায় ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন কুণাল ঘোষ।
তিনি সেই সময় বলেছিলেন, “পার্কিং ফি বাড়ানো সিদ্ধান্তে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমোদন ছিল না। মুখ্যমন্ত্রী চান না সাধারণ মানুষের উপর কোনও বোঝা বাড়ুক। কলকাতার মেয়রকে এই ফি প্রত্যাহারের কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।”
এরপরেই বর্ধিত পার্কিং ফি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছিল। যদিও প্রকাশ্যেই অভিমান প্রকাশ করতে শোনা গিয়েছিল ফিরহাদ হাকিমকে। তিনি বলেছিলেন, “এই কথা সংবাদমাধ্যমে বলা ঠিক হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিলে প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে এই বর্ধিত পার্কিং মূল্য।”
যদিও কুণাল ঘোষ এই যাবতীয় বিষয়টিকে ‘ক্লোজ চ্যাপটা’ বলেছিলেন। জানা গিয়েছে, কলকাতা পুরসভা পার্কিং ফি বাড়াতে চেয়ে নবান্নের অনুমোদন চেয়ে পাঠিয়েছে। নবান্নের অনুমতি পাওয়া গেলেই কলকাতায় বাড়তে চলেছে পার্কিং বাবাদ ভাড়া, জানা গিয়েছে এমনটাই।
প্রসঙ্গত, পুরসভার পার্কিং ফি বৃদ্ধির পর এবার নিউটাউনের বাজারে ট্রাফিক ফাইন নিয়ে কুণাল ঘোষের এই টুইট অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।