কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুমার সানিরাজ বলেন, ‘জারিধরলা গ্রামের ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার ভোররাতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দিনহাটার গিতালদহের জারিধরলা গ্রাম। রাতে প্রচার চালানোর পর সেদিন সকালে কলাবাড়ি এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন তৃণমূল কর্মী বাবু হক।
হঠাৎই পাটক্ষেত থেকে বাবু হককে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। তাতে তিনি জখম হয়ে রাস্তায় পড়ে যান। গুলির শব্দ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান আরও কিছু তৃণমূল কর্মী। এরপর কয়েক রাউন্ড গুলি চালালে ৭ জন আহত হন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে মৃত বাবু হককে ঘটনাস্থলে রেখেই আহতদের উদ্ধার করে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
বর্তমানে তাঁরা কোচবিহারের বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় বাংলাদেশি যোগও চলে আসে! উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, ‘BJP প্রতিবেশি রাষ্ট্র থেকে দুষ্কৃতী এনে হামলা চালিয়েছে’। পাশাপাশি কিভাবে BSF থাকা সত্বেও কিভাবে দুষ্কৃতীরা এই দেশে প্রবেশ করে গুলি চালিয়ে ওপারে পালিয়ে গেল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
অপরদিকে বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক সাংবাদিক বৈঠক করে অভিযোগ করে বলেন, ‘গিতালদহে গুলিতে নিহত তৃণমূল কর্মী বাবু হক আন্তর্জাতিক অপরাধী। তার ভারতের আধার কার্ড যেমন রয়েছে। তেমনই বাংলাদেশের ভোটার কার্ড রয়েছে’। এই তরজার মধ্যে ৫ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
এই বিষয়ে ক্ষোভ জানিয়ে স্থানীয় এক BJP নেতা বলেছেন, ‘পুলিশ এখন আর পুলিশ নেই। তৃণমূলের দলদাস হয়ে গিয়েছে। এই খুন হয়েছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে। আর বেছে বেছে BJP কর্মী সমর্থকদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, হেনস্তা করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আদালতে যাব। গ্রেফতার হওয়া কর্মীদের পাশে সর্বক্ষণ থাকবে দল’।