শাসন কি শাসনেই আছে? দীপঙ্করের কথায়, “শাসন আগের থেকেও ভয়ঙ্কর। আগে ছিল চোর এখন হয়েছে ডাকাত।” তাঁর দাবি, এলাকায় প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার পরও হুমকি, হুঁশিয়ারি ভয় দেখিয়ে তা প্রত্যাহার করিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বর্তমানে জেলাপরিষদের আসনে লড়ছেন ঠিকই কিন্তু প্রচারে যেতে পারছেন না বিজেপি প্রার্থী।
২০০৯-১০ সাল থেকেই ঘর ছাড়া তিনি। দীপঙ্করের বাড়ি বারাসত ব্লক ২ বহিরা কালিবাড়ি এলাকায়। কিন্তু সেই এলাকায় ঢুকতে পারে না, তাই বারাসতে ঘর ভাড়া করে থাকেন। দল এবার জেলা পরিষদের প্রার্থী করেছে ঠিকই কিন্তু লড়াইয়ের ময়দানে কতটা লড়াই দিতে পারবে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে তাঁর। একে একে সকলেই প্রার্থী পদ তুলে নিয়েছে। কীর্তিপুর ১, ২ ও দাত পুর নিয়ে দীপঙ্কর হালদার জেলাপরিষদের ৩৮ নম্বর আসনে প্রার্থী। ফেসবুক আর হোয়াটসঅ্যাপ-এর মাধ্যমে নিজের প্রচার চালাচ্ছেন তিনি।
বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলে জানার চেষ্টা করছেন, সেখানে দলের ব্যানার ফেস্টুন লাগাতে পেরেছে কি না। দীপঙ্কর দাবি করেন, এলাকায় প্রচার করতে যাওয়ার মত পরিবেশ নেই। দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে জানিয়েও কোনও সুব্যবস্থা হয়নি বলে জানায় দীপঙ্কর।
বিষয়টি নিয়ে রাজ্যে খাদ্য ও সরবরাহ মন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন, “আমার বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে এই এলাকা পড়ে না। দীপঙ্কর হালদার যে এলাকায় জেলাপরিষদের প্রার্থী হয়েছে, সেটা হারোয়ার মধ্যে পরে। কিন্তু দীপঙ্কর যে অভিযোগ করছে, তার কোনও সত্যতা আছে বলে জানা নেই। ওই এলাকায় বিরোধীরা প্রার্থীই দেয়নি বলে অনেক পঞ্চায়েতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূল জয়ী হতে চলেছে। প্রচারে পুলিশ-নির্বাচন কমিশনকে জানাতে পাবেন বলে মত তাঁর।
অন্যদিকে, বারাসতের বিজেপি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস মিত্র জানান, তিনি দীপঙ্করকে আজই নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানানোর কথা বলেছেন। রথীন ঘোষ তো নির্বাচন কমিশনের লোক নয়। তাই তাঁর কথার কোনও যৌক্তিকতা আছে বলে তিনি মনে করেন না।