সুতপা সেন: কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই করাতে হবে পঞ্চায়েত ভোট। সুপ্রিম নির্দেশ। সেই নির্দেশের পর কেন্দ্রের কাছে বাহিনী চায় কমিশন। তারপর বাহিনীও এসে পৌঁছেছে রাজ্যে। কিন্তু বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে কি থাকবে না, সেই নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি কমিশন। বরং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য ঘিরে দেখা দিয়েছে ধোঁয়াশা। তুঙ্গে বিতর্ক। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজিবা সিনহার বক্তব্য, এখন যে বাহিনী এসেছে, তা বর্তমানে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার জন্য। ভোটের দিনের জন্য নয়। ভোটের দিন কী করা হবে, বাহিনীর ভূমিকা কী হবে, তা নিয়ে নির্বাচনের ৩ থেকে ৪ দিন আগে সিদ্ধান্ত  নেওয়া হবে। বলাই বাহুল্য, কমিশনের এই বক্তব্যের পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে। তবে কি হাইকোর্টের নির্দেশকে রীতিমতো বুড়ো আঙুল দেখাতে চলেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন? বিরোধীদের দাবিকে নস্যাত্ করতে চলেছে কমিশন?

প্রসঙ্গত, কমিশন প্রথমে চায় ২২ কোম্পানি বাহিনী। তারপর ৮০০ কোম্পানি বাহিনী চেয়ে চিঠি পাঠায়। কারণ, আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে যে, ২০১৮ সালের চেয়ে বেশি ও পর্যাপ্ত বাহিনী রাখতে হবে। কমিশনের ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্র প্রথমে ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী পাঠায়। যা নিয়ে তৃণমূল পালটা কটাক্ষ করে বিজেপি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকারকে। তারপর ফের আরও ৪৬৫ কোম্পানি বাহিনী চেয়ে চিঠি দিয়েছে কমিশন। যদিও, এই ৪৬৫ কোম্পানি বাহিনী নিয়ে এখনও কোনও কিছু জানায়নি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

এখন সবচেয়ে বেশি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে মুর্শিদাবাদে। কেন্দ্র মোট সিআইএসএফ পাঠিয়েছে ২৫ কোম্পানি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেওয়া হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনায় ৯ কোম্পানি। তারপর পুরুলিয়ায় ৬ কোম্পানি। বিএসএফ পাঠাচ্ছে ৬০ কোম্পানি। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি মুর্শিদাবাদে ১২ কোম্পানি। তারপর কোচবিহারে ১০ কোম্পানি। ১১ জেলায় CRPF, ৬ জেলায় CISF, ৯ জেলায় BSF পাঠাচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কমিশনকে চিঠি দিয়ে সেটাই জানায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সবচেয়ে বেশি ভিন রাজ্যের বাহিনী আসছে উত্তরপ্রদেশ ও আসাম থেকে। দুই রাজ্য থেকেই ১০ কোম্পানি করে রাজ্য সশস্ত্র পুলিস আসছে ভোটের বাংলায়।

প্রসঙ্গত, কমিশন বলেছিল, পঞ্চায়েত ভোটে কোন জেলায় কত সিআরপিএফ, কত বিএসএফ ও কত সিআইএসএফ তা ঠিক করুক কেন্দ্র। কারণ, কোন বাহিনী কোথায় যাবে তা বলার কথা নয় কমিশনের। সেটা ঠিক করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কমিশন শুধুমাত্র জানিয়ে দেবে কোথায় কত বাহিনী পাঠাতে হবে। এরপরই কমিশনকে চিঠি লিখে বাহিনী মোতায়েনের বিন্যাস পাঠায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। উল্লেখ্য, কমিশন সূত্রে খবর, আলিপুরদুয়ারের জন্য ৬ কোম্পানি, বাঁকুড়ায় ২৪ কোম্পানি, বীরভূমে ১৯ কোম্পানি, কোচবিহারে ১৪ কোম্পানি, কোচবিহারের ১৪ কোম্পানি, দক্ষিণ দিনাজপুরে ৬ কোম্পানি, দার্জিলিংয়ে ৫ কোম্পানি, হুগলি ১২ কোম্পানি, হাওড়ায় ১০ কোম্পানি বাহিনী চাওয়া হয়েছিল।

আরও পড়ুন, 0Firhad Hakim: ‘তব তেরা কেয়া হোগা রে কালিয়া’, চরম হুঁশিয়ারি ফিরহাদের…

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version