একুশে বিধানসভায় তৃণমূলের সবথেকে বড় হাতিয়ার ছিল ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’। সেই মডেল প্রয়োগ করে বাংলা বাদে অন্য রাজ্যে চিঁড়ে না ভিজলেও পঞ্চায়েতেও গ্রাম বাংলার উন্নয়ন ছাপিয়ে তৃণমূলের মূল হাতিয়ার সেই ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’। রাজ্যের অন্যতম সফল প্রকল্পকেই তুলে ধরে প্রচার তৃণমূল কংগ্রেসের। জনমতের জোয়ার আনতে ক্ষমতায় এলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে বরাদ্দ বানান হবে বলে প্রচার চালাচ্ছেন বিরোধী দল বিজেপি। প্রতি জনসভায় শুভেন্দু অধিকারী থেকে সুকান্ত মজুমদারের মুখে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ১০০০ থেকে ২০০০ টাকা দেওয়ার ঘোষণা। বিরোধী দলে এই প্রচারকেই কটাক্ষ তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

Lakshmir Bhandar Scheme : লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ৫০০ থেকে ২০০০! পঞ্চায়েতের মুখে আশ্বাসবাণী বিধায়কের

পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের সভা থেকে কেন্দ্রে মোদী সরকারকে নিশানার সঙ্গে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে বিজেপির প্রচারকেও নিশানা করেন তিনি। অভিষেক বলেন, ‘একুশের ভোটের আগে বাংলার মা-বোনেদের জন্য তৈরি এই প্রকল্পকে ভিক্ষা বলে আখ্যা দিয়েছিল। এখন নিজেরাই সেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে প্রচার চালাচ্ছে। নিজেরাই বলছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দেবে। বিজেপি নেতারা আগে বলত লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নাকি ভিক্ষা। এখন বলছে ভোটে জিতলে তারা মহিলাদের হাজার টাকা করে দেবে।’

Abhishek Banerjee: ‘তিনমাস অন্তর পঞ্চায়েত প্রধানের মূল্যায়ন আমি করব’, মালদায় প্রতিশ্রুতি অভিষেকের

Panchayat Election 2023 : ‘ছিঃ ! কাকে প্রার্থী করেছেন’? ঘাসফুলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব?

একইসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘দিদি সরাসরি বাংলার মা-বোনেদের অ্যাকাউন্টে যা দিচ্ছেন। মোদী-শাহ আধার প্যান লিঙ্ক করার নামে সেই হাজার টাকা আবার লুঠ করে নিচ্ছে। ১২টা রাজ্যে ক্ষমতায় আছে বিজেপি। এর মধ্যে কোনও একটা বিজেপি শাসিত রাজ্যেও সব মহিলাকে এক হাজার টাকা করে যদি দিতে পারে তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। তৃণমূল কংগ্রেস কথা দিয়ে কথা রাখে। একুশের ভোটে আপনারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে সামনে রেখে ভোট দিয়েছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় এসেই তা চালু করেছে। আর বিজেপি শুধু কথা দিয়ে পালিয়ে যায়।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version