Jalpaiguri News : জলপাইগুড়িতে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে এসে জল্পেশ মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ও রাজ্যের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে নাম করে স্পষ্ট ভাষায় হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। এদিন তিনি বলেন, ‘ভোটের পর শুভেন্দু থাকবে কিনা জানি না। কারণ ইতিমধ্যেই ওর খেলা শেষ হয়ে গিয়েছে।’

শুভেন্দু অধিকারীকে গদ্দার বলে ফের আক্রমণ করেছেন তিনি। মদন মিত্র অভিযোগ করে বলেন, ‘যাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসকে চোর বলছেন তাঁরাই সবচেয়ে বড় চোর। গদ্দারদের আসল পরিচয় জানা যাবে।’ শুভেন্দু অধিকারীর নাম করে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন মদন মিত্র।

Madan Mitra : ‘…এত টাকা খরচ হচ্ছে, সরকারি কর্মীদের ডিএ দেওয়া যেত’, বিস্ফোরক মদন
বলেন, ‘শুভেন্দু হল চোরের রাজা। ও যেখানে যায়, সেখানেই চুরি হয়। আর রাজ্যপালের বাড়িতে তো আর্মস নিয়ে যায় BJP নেতারা।’ এদিন মদন মিত্র ফের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে একহাত নেন।

তাঁকে নিয়ে বলেন, ‘রাজ্যপাল বিরুদ্ধে আমার কিছু বলার নেই। লোকে রাজ্যপাল বলছে না হরিদাস পাল বলছে। যদিও আমার মতে উনি হরিদাস পালের চেয়েও অধম।’

Suvendu Adhikari : ‘রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মমতার পোষ্য-মাতাল’, রাজীবকে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর
এছাড়াও জল্পেশ মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর মদন মিত্র বলেন, ‘আমি ছোট থেকে শুনেছি ভগবান যা করেন মঙ্গলের জন্যই করেন। আজকে ভগবান জল্পেশের মন্দিরে এসে একই কথা আবার বলছি। কেন্দ্রীয় বাহিনী যত আসবে আমাদের ভোটারা তত সক্রিয় হবেন। কারণ আমার ভোটাররা শর্ট কাটে পৌছে যাবেন ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে। কেন্দ্রীয় বাহিনী ঝুঁকি নেবে না, ওরা সুখী বাহিনী। ওরা ঘুরে ঘুরে পাঁচ মিনিটের রাস্তা দুঘন্টায় যাবে। গলায় জল লাগবে না। পুকুরে নামবে না, বিকেল পাঁচটার পর গর্ত থেকে বের হবে না। ওদের যত দেখছে, আমাদের ভোটারদের বুকটা আরও শক্ত হচ্ছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী যত আসবে তত তৃণমূল বেশি ভোটে জিতবে। কেন্দ্রীয় বাহিনী কতক্ষন! নির্বাচনের ফল ঘোষণা পরে কেন্দ্রীয় বাহিনী নয় তৃণমূলই থাকবে।’

Suvendu Adhikari : ‘প্রধানমন্ত্রী দ্রৌপদী মুর্মু…’ আলিপুরদুয়ারে ‘পদ বিভ্রাট’-র গেরোয় শুভেন্দু
এছাড়াও তিনি বলেন, ‘মোকাম্বো খুশ হুয়া। ভালোই হয়েছে। আমাদের ছেলেরা উজ্জীবিত হয়েছে।’ এদিন দুপুরে জল্পেশ গেস্ট হাউসে আহার সেরে উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ শৈব তীর্থক্ষেত্র ময়নাগুড়ি জল্পেশ মন্দিরে পুজো দিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার শুরু করেন মদন মিত্র।

সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘এবারে ভোটের স্লোগান খেলা শেষ। একুশের ভোটে স্লোগান ছিল খেলা শুরু। এবারে হবে খেলা শেষ।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version