অভিযুক্তকে হোর্ডিং ব্যানার ছেঁড়ার সময় হাতে নাতে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা। ওই যুবক স্বীকার করে, তৃণমূলের কথায় এই কাজ করেছে সে, দাবি BJP-র। এই ঘটনা লিখিতভাবে জানানো হয়েছে পুলিশকে। এই বিষয়ে BJP পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী বিধান মণ্ডল বলেন, ‘আমাদের প্রার্থীর সমর্থনে ব্যানার টাঙানো ছিল। সেই ব্যানার ভোররাতে টেনে ছিঁড়ে ফেলা হয়।
খবর পেয়ে আমরা এসে দেখি CPIM ও BJP-র ব্যানার রাস্তায় পড়ে রয়েছে। শাসকদলের কোনও ব্যানার ছেঁড়া হয়নি। অন্য কেউ করলে তাহলে শাসক দলের ব্যানারও ছেঁড়া হত। কিন্তু শাসক দলের কোনও ব্যানার বা ফেস্টুনে সেটা হয়নি। শুধুমাত্র বিরোধীদের ব্যানার ছেঁড়া হয়েছে। সুষ্ঠু পরিবেশে গণতন্ত্রের মাধ্যমে ভোট হোক।
মানুষ যাকে পছন্দ করবে তাঁকে ভোট দেবেন। এই ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা জানাই’। অন্যদিকে তৃণমূলের এক নম্বর জেলা পরিষদের প্রার্থী দীপ্তি ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমাদেরও বহু পোস্টার হোর্ডিং ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা করেছে জানি না।
আর সাধারণ মানুষ তৃণমূলের পাশে আছে। আমরা যেভাবে মানুষের পাশে আছি কাজ করছি তাতে তৃণমূলের এই কাজ করার প্রয়োজন পড়ে না। তবে BJP-র পায়ের তলে মাটি সরে গিয়েছে। তাই তাঁরা এই কাজ করতে পারে। এগুলি আসলে কিছুই না, সস্তার প্রচার পাওয়ার কাজ’।
তবে স্থানীয় এক বাসিন্দা এই বিষয়ে বলেছেন, ‘CPIM ও BJP-র ব্যানার রাস্তায় ছিঁড়ে পড়ে রয়েছে তা দেখেছি। তবে কে বা কারা করেছে তা বলতে পারব না’। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পার্শ্ববর্তী উত্তরপাড়া এলাকাতেও বেশ কয়েকমাস আগে BJP-র দলীয় পতাকা ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। BJP-র অভিযোগ ছিল তৃণমূলের কর্মীরা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। এই নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা ও হাতাহাতিও হয় বলে জানা যায়।