এই বিষয়ে এক ISF কর্মী বলেছেন, ‘আজ সকাল থেকে এখানে ভোটই করতে দেওয়া হয়নি সবসময় দাপিয়ে বেড়িয়েছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। আর পুলিশ গালে হাত দিয়ে বসে রয়েছে। ভোট দিতে গেলে আমাদের এক কর্মীকে ব্যাপকভাবে মারধর করা হয়েছে। সেই কারণেই আমরা থানার সামনে এই অবরোধ করছি।
যতক্ষণ না পুলিশ আমাদের ভোট দিতে সাহায্য করবে, আমাদের এই অবরোধ চলবে’। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা জানিয়েছেন, ‘তৃণমূলের কেউ ভোট দিতে বাধা দেয়নি কাউকে। উলটে ISF কর্মীরা আমাদের দলের কর্মীদের শাসানী দিয়েছে, মারধর করতে গিয়েছে।
পালটা আমরা প্রতিরোধ করলে ISF কর্মীরা পালিয়ে যায়। আর তারপর থেকে আমাদের নামে মিথ্যে অভিযোগ করছে’। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সকাল থেকেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উঠে এসেছে নানা অশান্তির খবর। এইসব ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে একের পর এক এলাকায়।
আর তার মধ্যেই ভাঙড়ের পাওয়ার গ্রিড এলাকায় ভোট কেন্দ্রের পাশেই পাওয়া গিয়েছে বোমা। এদিকে, বোমা পাওয়ার পর থেকেই কাশীপুর থানার পুলিশের পক্ষ থেকে কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। এদিন সকালে দুই ISF কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ভাঙড়ে। একটু বেলার দিকে বল ভেবে খেলতে গিয়ে বোমা ফেটে ঝলসে গিয়েছে দুই শিশু।
রাতভর ভাঙড়ের বিভিন্ন এলাকা উত্তপ্ত ছিল। গ্রামবাসীদের কথায়, সারা রাত বোমা, গুলি চলেছে। আতঙ্কে দু’চোখের পাতা এক করতে পারেননি তাঁরা। সকাল থেকে ফের শুরু হয়েছে সন্ত্রাস। কোথাও গুলি চলছে, তো কোথাও মুহুর্মুহু বোমা পড়ছে। আর সব কিছু মিলিয়ে পুলিশকে আরও কড়া হওয়ার বার্তা দিয়ে থানার সামনেই অবরোধ করছেন ISF কর্মীরা।