এদিকে সূত্রের খবর, সোমবার সন্ধ্যায় অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করবেন সিভি আনন্দ বোস। নর্দান ব্লকে এই বৈঠক হবে বলে জানা যাচ্ছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর রাজ্যে বিক্ষিপ্ত হিংসার ঘটনার চিত্র সামনে রেখে ৩৫৫ এবং ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের দাবি করেছিলেন বিরোধীরা।
অভিজ্ঞ মহলের একাংশের কথায়, এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপাল এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। যদিও ঠিক কী নিয়ে এদিনের বৈঠক তা স্পষ্ট নয়। তবে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, আলোচনা টেবিলে উঠে আসতে পারে বঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনের চিত্র।
উল্লেখ্য, ৮ জুলাই গোটা রাজ্যে একদফায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল নির্বাচন। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর দাবিতে প্রথম থেকেই সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। এই মর্মে তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কলকাতা হাইকোর্ট গোটা রাজ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে ভোট করানোর নির্দেশ দিয়েছিল।
এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন। যদিও সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের নির্দেশে কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি। কিন্তু, ভোটের দিন অধিকাংশ বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দেখা যায়নি বলে অভিযোগ তুলেছিলেন বিরোধীরা।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনী সঠিকভাবে মোতায়েন করা হয়নি। যদিও আরও আগে বাহিনী এলে সুবিধা হত, এমনটাই মন্তব্য ছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের।
রাজ্যপাল এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়েও আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।