শাসকদলের সন্ত্রাস ও হুমকিকে উপেক্ষা করেও ISF ভালো রেজাল্ট করেছে বলে জানালেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। শাসকদলকে কটাক্ষ করে তাঁর বক্তব্য মনোনয়ন পর্ব থেকে আরম্ভ করে ভোটপর্বে ও গণনাপর্বেও শাসকদল সন্ত্রাস চালিয়েছে৷ বিরোধী এজেন্টদের বসতে দেয়নি ৷
নওশাদের বক্তব্য, এর দ্বারা প্রমাণিত শাসকদলের আত্মবিশ্বাস কোথায় এসে পৌঁছেছে। তিনি সবার কাছে শান্তি রক্ষার আবেদন জানিয়েছেন৷ তাঁর বক্তব্য, সকলেই একে অপরের প্রতিবেশী। গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে সবাই যাতে শান্তি বজায় রাখেন তার আবেদন জানান তিনি। অভিষেক বন্দোপাধ্যায় ও মমতা বন্দোপাধ্যায় নির্বিঘ্নে ভোট নিয়ে যে বার্তা দিয়েছিলেন তা তার দলের নীচু তলার কর্মীরা শোনেন নি৷
৫ বছর করে কর্মে খাওয়ার জন্য তাদের কথা কেউ শোনেনি বলে জানান নওশাদ ৷ তার আরও বক্তব্য নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ ভুমিকা পালন করলে এত মানুষের মৄত্যু হত না। প্রসঙ্গত, ভাঙড়ের দু’টি ব্লক রয়েছে। এর মধ্যে ভাঙড় ১ এবং ভাঙড় ২-এ যথাক্রমে ৯টি এবং ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েত। ভাঙড় ১ ব্লকে ভোটই হয়নি। সবকটি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে তৃণমূল। ২ ব্লকের একাধিক আসনেও তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে নেয়।
তবে বিশেষ লক্ষ্য ছিল, তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের নিজের ঘাঁটি পোলেরহাট ২। সেই আসনে হারতে হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। পরাজয় হতে পারে বলেও মত দিয়েছেন আরাবুল। তবে আরাবুলের নিজের গ্রামেই তৃণমূলকে পর্যদুস্ত করতে পেরে স্বস্তিটা বোধহয় আরও বেশি নওশাদের।
যদিও, গোটা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা জুড়ে দাপট দেখিয়েছে শাসক দল। তবে ভাঙড় শুরু থেকেই ছিল উত্তপ্ত। মনোনয়ন পর্ব থেকে এই এলাকায় তৃণমূল এবং আইএসএফ সংঘর্ষে ছড়িয়ে পড়ে। গ্রাউন্ড জিরোতে নেমে আসতে হয় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে। ভোটের দিন থেকে শুরু করে গণনার দিনে অশান্তি ছড়ায় এই এলাকায়।
