Hooghly Health Centre : রোগীকে নিয়ে বাড়ির লোকজন হাসপাতালের এমারজেন্সি গেটে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। চিৎকার করে ‘ডাক্তারবাবু’ বলে ডাকছেন রোগীর আত্মীয় পরিজনের কিন্তু কোনও ডাক্তার থেকে শুরু করে হাসপাতালের কর্মীদের কোনও সাড়াশব্দ নেই। অভিযোগ, চিকিৎসার গাফিলতিতেই মৃত্যু হল অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূর। এমনটাই অভিযোগ হুগলি জেলার গোঘাট এক নম্বর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিরুদ্ধে।

Hooghly Panchayat Election: লালে লাল পাণ্ডুয়ার জামনা, হুগলির সবুজ ঝড়ের মাঝে CPIM-এর চমক
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত গৃহবধূর নাম ফিরোজা বেগম ( ২৭)। বাড়ি গোঘাট থানা এলাকায়। জানা গিয়েছে, বহু ডাকাডাকির পর হাসপাতালে একজন কর্মী ঘুম থেকে উঠে এলেন তারপর এমারজেন্সির চাবি খুললেন। তখনও দেখা পাওয়া যায়নি এমারজেন্সিতে কর্তব্যরত চিকিৎসকে। যন্ত্রণায় কাতড়াতে থাকা রোগী একেবারে মৃত্যু মুখে ঢলে পড়েন। কিন্তু চিকিৎসকের দেখা নেই বলে অভিযোগ।

Aparupa Poddar Husband: সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের স্বামীর সাহায্যে জয়ী বিজেপি প্রার্থী, তৃণমূল নেতার খুঁজে দেওয়া ব্যালটেই ফল বদল
প্রায় ৩০ মিনিট পর চিকিৎসক ঘুম থেকে উঠে রোগি দেখেন। কিন্তু তখন সব শেষ। তাঁদের আরও অভিযোগ বিনা চিকিৎসাতেই মারা যায় গৃহবধূটি। পেটের যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে আসা রোগী চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যু হয় গর্ভবতী মহিলার বলে অভিযোগ। যদিও বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত চিকিৎসকের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Hooghly Panchayat Result : বিরোধীদের পিছনে ফেলে লম্বা লাফ তৃণমূলের, হুগলিতে সেকেণ্ড পজিশনের লড়াইয়ে বাম-বিজেপি
বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে এমারজেন্সিতে ডিউটিতে ছিলেন ডাক্তার শুভ ভট্টাচার্য নামে এক চিকিৎসক। তাঁর বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগের আঙুল তোলে রোগীর আত্নীয়রা। পাশাপাশি হাসপাতালে রোগীর মৃতদেহ রেখে বিক্ষোভ দেখান।
অভিযোগের ভিত্তিতে মৃত ফিরোজা বেগমের আত্নীয় সাইফুল মন্ডল বলেন, ‘পেটের যন্ত্রণা হওয়ায় ওঁকে গাড়ি করে এই হাসপাতালে নিয়ে আসি। কিছুতেই হাসপাতালে গেট খোলেনি। প্রায় আধ ঘণ্টা পর গেট খোলা হয়। বহু ডাকা ডাকি করি।’

Siliguri News: উদ্ধার সদ্যোজাত! চুরি করেছিলেন এক নিঃসন্তান মহিলা

রোগীর পরিবারের অভিযোগ, প্রথমে জানান হয় আরামবাগ নিয়ে চলে যান বলে। পরে আবার গাড়ি ফিরিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করতে বলে। নয় মাসের গর্ভবতী মহিলাকে নিয়ে ঘোরাঘুরি করায় বিপত্তি হয়েছে। মৃতের কাকা নজরুল মণ্ডল বলেন, ‘ডাক্তার তালা দিয়ে ঘুমাচ্ছে। বহু চেঁচামেচি করে ডাক্তার ঘুম থেকে উঠে বললেন রোগী কি মারা গিয়েছে? আমরা আরামবাগ নিয়ে যাব বললাম। কিন্তু নিয়ে যেতে দেয়নি।’

অন্যদিকে, গোঘাট এক নম্বর ব্লকের বিএমওএইচ ডাঃ অভিজিৎ ঘোষ বলেন, ‘একজন রোগী এসেছিলেন, ডাক্তারবাবু দেখে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তারপর পোস্টমর্টেমের জন্য প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু রোগীর পরিবার তা মানতে চাইনি।’ এমারজেন্সি গেটে চাবি দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে এ বিষয়ে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। অভিযোগ জমা পড়লে তদন্ত করে দেখব।’ সবমিলিয়ে আবারও একবার গোঘাট এক নম্বর ব্লকের স্বাস্থ্য পরিষেবা বেহাল চিত্র ক্ষুব্ধ রোগীর পরিবারের লোকজন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version