বিরিয়ানির সঙ্গে বাঙালির টান, নতুন কিছু নয়। সেই কারণে উইকেএন্ড হোক কোনও উৎসব-অনুষ্ঠান, প্যাকেট ভর্তি গরম বিরিয়ানি এখন প্রায় সব ঘরে ঘরে। বিরিয়ানির সঙ্গে যদি মেলে চিকেন চাপ, ব্যাস তাহলে তো আর কোনও কথাই নেই। আর বিরিয়ানি চাপের এই ‘কম্বো’ খেতে খরচ হবে না খুব বেশি গাঁটের কড়ি।

৩০ টাকায় বিরিয়ানি, ১৫ টাকায় চিকেন চাপ। হ্যাঁ, শুনতে অবাক হলেও এটাই সত্যি। এই বিরিয়ানি খেতে হলে আপনাকে আসতে হবে বর্ধমান কোর্ট কম্পাউন্ড এলাকায়। কার্জন গেট চত্বর থেকে কোর্ট কম্পাউন্ডের দিকে যেতেই ফুটপাতের ধারে চোখে পড়বে লাল কাপড়ে ঢাকা বিশাল বিরিয়ানির হাঁড়ি। পাশেই রাখা ফুটন্ত চিকেন চাপের গামলা।

Dada Boudi Barrackpore: শহরতলিতে ব্যবসা বাড়াচ্ছে দাদা বৌদি বিরিয়ানি! এক থেকে রেস্তোরাঁর সংখ্যা বেড়ে 4
বর্ধমান শহরে কোথাও এক প্লেট চিকেন বিরিয়ানি মিলছে ১২০-১৫০ টাকায়, চিকেন চাপের দাম ৭০-৮০ টাকার আশেপাশে। সেখানে ৪৫ টাকাতেই আপনার রসনাতৃপ্তির সম্পূর্ণ বন্দোবস্ত এই বিরিয়ানির দোকানে। ৪৫ টাকার এই কম্বোর কথা চাউর হতেই বর্ধমান শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে এখানে আসছেন ক্রেতারা।

প্রদীপ রাউত নামে এক যুবক এই দোকানটি শুরু করেছেন বলে জানা গিয়েছে। বর্ধমানের বাদামতলায় বাড়ি প্রদীপের। জানা গিয়েছে এই দোকান শুরু করার আগে তিনি একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতেন। কিন্তু নিজের পায়ে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে তিনি এই ব্যবসা শুরু করেন। এর পাশাপাশি বর্ধমানবাসীর জন্য কিছু করার ইচ্ছা দীর্ঘদিন ধরেই ছিল তাঁর। সেই কারণেই এই বিরিয়ানির দোকান শুরু। অল্পলাভে বেশি সংখ্যক ক্রেতার কাছে পৌঁছনোই লক্ষ্য প্রদীপের।

Air India Flight : জলে ভাসছে বিরিয়ানি! বিমানযাত্রীর ফেসবুক পোস্টে কাঠগড়ায় এয়ার ইন্ডিয়া
তিনি বলেন, ‘বেশ কিছুদিন হল এই বিরিয়ানির দোকান চালু করেছি। হুগলি শ্রীরামপুরে রিলায়েন্সের একটি লজিস্টিক কারখানাতে চাকরি করতাম আমি। বাড়ি ফেরার পথে শ্রীরামপুরেই দু-একবার ৩০ টাকার বিরিয়ানি খেয়েছিলাম। তখন থেকেই ৩০ টাকার বিরিয়ানির দোকান খোলা আমার লক্ষ্য। সেই কারণে ৩০ টাকায় বিরিয়ানি ও ১৫ টাকার চিকেন চাপ দিয়ে ব্যবসা শুরু করি। বর্ধমানের মানুষকে অল্প লাভ রেখে ভাবেই সুস্বাদু খাবার খাওয়াতে চাই।’

Ballot Paper Mishti : ব্যালট পেপার ‘গিলে খাওয়া’-র বাম্পার সুযোগ! অশোকনগরের দোকানে লম্বা লাইন
প্রদীপের দোকানের ক্রেতা ও স্থানীয় বাসিন্দা অভিষেক পাল বলেন, ‘এই দোকানের বিরিয়ানি ও চিকেন চাপ দুর্দান্ত খেতে। দাম খুবই কম হওয়ার কারণে হয়তো পরিমাণ কম, কিন্তু খেতে সুস্বাদু। আমি ও আমার পরিবারের সবাই এখানকার বিরিয়ানি ও চাপ খেতে পছন্দ করেন। সেই কারণে মাঝে মধ্যেই এখান থেকে বিরিয়ানি কিনে নিয়ে যাই।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version