রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর পৃথক রাজ্যের দাবি নিয়ে ধোঁয়াশা জিইয়ে রাখলেন মহারাজ অনন্ত রায়। সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর মঙ্গলবার কলকাতা থেকে কোচবিহারে ফেরেন তিনি। নিউ কোচবিহার রেল ষ্টেশনে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করেন পার্লামেন্টে কি পৃথক রাজ্যের দাবি করবেন তিনি। এর উত্তরে অনন্ত মহারাজ বলেন, ‘যা বলার পার্লামেন্টে বলবো।’

পৃথক কোচবিহার রাজ্যের দাবিকে সামনে রেখে যাঁরা আন্দোলন করছেন তাদের মধ্যে অন্যতম গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের অনন্ত মহারাজ। এক্ষেত্রে একাধিক সংগঠন রয়েছে। ফলে সেগুলির মধ্যে মতবিরোধও রয়েছে। এই সংগঠনগুলোর মধ্যে অন্যতম অনন্ত মহারাজের নেতৃত্বাধীন গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন। উত্তরবঙ্গ ও অসমের একটা বড় অংশে অনন্ত মহারাজের প্রভাব রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে অনন্ত মহারাজের সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক ভাল। গত ২০১৯ সালের লোকসভা ও ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে ভোটপ্রচারে অংশও নিয়েছিলেন অনন্ত মহারাজ।

Ananta Maharaj News: ‘ওহে মহারাজ…ছিঃ তুমি ধর্ষক’, অনন্ত মহারাজকে নাম না করে আক্রমণ উদয়নের? জল্পনা
এদিকে এরই মাঝে অনন্ত মহারাজের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতে উদ্যোগী হয় তৃণমুল। ২০২২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি অনন্ত মহারাজের উদ্যোগে আয়োজিত চিলারায়ের জন্মদিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে কোচবিহারে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাছাড়া গত একবছরে বিভিন্ন উপহার আদান প্রদান চলে। গতবছর অনন্ত মহারাজের জন্য ভাইফোঁটার উপহার পাঠান মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাঠানো উপহার নিয়ে অনন্ত মহারাজের বাড়িতে যান তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও পরমানন্দ দাস। মুখ্যমন্ত্রীর পাঠানো ধুতি, পাঞ্জাবি, চাদর-সহ বিভিন্ন উপহার অনন্ত মহারাজের হাতে তুলে দেন তাঁরা। আবার মমতার জন্য উপহার হিসেবে ভিন রাজ্যের বিশেষ চাদর, গামছা ও ঐতিহ্যবাহী পান-সুপারি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের হাতে তুলে দেন অনন্ত মহারাজও। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমুল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় কোচবিহারে গিয়ে অনন্ত মহারাজের সঙ্গে দেখা করেন।

Rajya Sabha Election 2023 : BJP-র ডামি প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাজ্যসভায় বাংলার ৭ মুখ
যা বলছে তৃণমূল…
অন্যদিকে আবার বিজেপির নেতা মন্ত্রীরা, বিশেষত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক মহারাজের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন। এরপর গত ১১ জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফলের দিন নিশীথ প্রামাণিক অনন্ত মহারাজের বাড়ি গিয়ে তাঁকে রাজ্যসভার প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দেন, এবং সেই প্রস্তাবে রাজি হন অনন্ত মহারাজ। এরপর সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর মঙ্গলবার কোচবিহারে ফেরেন গ্রেটার সুপ্রিমো। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক সুকুমার রায়-সহ বিজেপি ও গ্রেটারের নেতা কর্মীরা। সেখানেই পৃথক রাজ্যের দাবি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, যা বলার পার্লামেন্টে বলবেন। অন্যদিকে এই বিষয়ে রাজ্য তৃণমূলের মুখপাত্র পার্থপ্রতীম রায় বলেন, ‘রাজ্যভাগ নিয়ে অনন্ত মহারাজ ও বিজেপির অবস্থান স্পষ্ট নয়। শুধু গোলগোল কথা বলছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version