হাওড়া পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, গরমের ছুটির সময়ও প্রায় প্রত্যেকদিন কচিকাঁচাদের হাত ধরে তাদের বাবা-মায়েরা এসে তারামণ্ডলে ভিড় জমিয়েছিলেন। কিন্তু গরমে ছুটির শেষে স্কুল-কলেজ খুলে যাওয়ার কারণে সেই ভিড়ের চাপ এখন অনেকটাই হালকা হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই অনেক মানুষ তারামণ্ডলে শো দেখে নিয়েছেন। সেই কারণে তাঁরা আর এখানে আসতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন না।
হাওড়া পুরনিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, ভিড় কমলেও এই মুহূর্তে পুরোদমে চালু রয়েছে হাওড়ার থ্রি-ডি তারামণ্ডল। এখন প্রত্যেকদিন সেখানে চারটি করে শো টাইম নির্ধারিত হয়েছে। ১টি ইংরেজি, ১টি হিন্দি ও বাকি দুটি শো বাংলায় দেখানো হচ্ছে। এছাড়াও কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চাইলে পড়ুয়াদের জন্য বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে তারমণ্ডলে বিশেষ শো বুক করতে পারে। পুরসভা সূত্রে খবর, মোট ৯৬ আসনের দর্শক সংখ্যার ২৫ শতাংশ নিয়ে এখন চলছে এই তারামণ্ডল। তবে পুরসভা কর্তৃপক্ষের আশা পুজোর পর থেকে ভিড় আরও বাড়তে শুরু করবে। এমনকী শীতকালে দর্শক সংখ্যা আগেরবারকেও টেক্কা দিতে পারে।
হাওড়া পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘ডিসেম্বরে চালু হওয়ার পর থেকে প্রচুর মানুষ এই তারামণ্ডলে এসে থ্রি-ডি শো দেখেছেন। পরবর্তীকালেও প্রচুর মানুষ এসেছেন। তবে গরমের ছুটি শেষে স্কুল-কলেজ খুলে যাওয়ার দর্শক সংখ্যা কমেছে। এখনও অবধি থ্রি-ডি শোয়ের টিকিট বিক্রি করে হাওড়া পুরসভা ১২ লাখ টাকা আয় করেছে। শো দেখার জন্য ৯৬টি আসন রয়েছে। এখন ২৫ শতাংশ আসন ভরছে। আমাদের আশা চলতি বছর শীতকালে দর্শক সংখ্যা আগের বছরকেও ছাপিয়ে যাবে।’
স্থানীয় বাসিন্দা শুভম সাউ বলেন, ‘আমি আগের বছর তারামণ্ডলের একটি শো দেখেছি। আমার বেশ ভালো লেগেছে। এই থ্রি-ডি তারামণ্ডল হাওড়া বা বাংলা নয় গোটা দেশের গর্ব। আমাদের আশা, এবারও অনেক মানুষ এখানে থ্রি-ডি শো দেখার জন্য আসবেন।’