টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন উত্তরবঙ্গের একাধিক এলাকা। তা পর্যবেক্ষণে খোদ রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে পাঠিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তারপর উত্তরবঙ্গে পৌঁছে সরেজমিনে সমস্ত কিছু খুঁটিয়ে দেখছেন মন্ত্রী। আর তা করতে গিয়েই মঙ্গলবার দেখা দিল বিপদ। জয়গাঁও-এর কুটিবাড়ি এলাকায় বাসরা নদীর ভাঙন পরিদর্শনে নদীর চড়ে হাটতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে পড়ে যান সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ধরে তুলে নেন উপস্থিত সকলে।

জানা গিয়েছে, এর ফলে তাঁর বাঁ’পায়ে সামান্য চোট লেগেছে। যদিও গুরুতর কিছু হয়নি বলেই জানিয়েছেন মন্ত্রী। তারপর তাঁকে ধরেই নামানো হয় চর এলাকা থেকে। যদিও তারপর স্বাভাবিক ভাবেই হাঁটতে দেখা যায় মন্ত্রীকে। তারপর স্থানীয়দের সঙ্গে কথাও বলেন মন্ত্রী।

Mamata Banerjee: ফুঁসছে নদী, বানভাসি উত্তরবঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বিশেষ বিপর্যয় মোকাবিলা দল পাঠাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ার জেলার বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে এসেছে বিশেষ প্রতিনিধি দল। পার্থ ভৌমিকের নেতৃত্বে এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সচিবের তত্ত্বাবধানে একটি বিশেষ দল আলিপুরদুয়ার জেলার বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। জয়গাঁও-এর বাসরা নদীর বাঁধ পরিদর্শনের সঙ্গে মঙ্গলবার বেলা ৯ টা নাগাদ জেলার বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ পরিদর্শন করেন এই বিশেষ দল।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে শালকুমার গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত জলদাপারা জঙ্গল ভেদ করে যাওয়া এই সিসামারা নদীর উপর তৈরি হয়েছিল বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি সিন্থেটিক বাঁধ। কিন্তু এই সিন্থেটিক বাঁধ পাহাড়ি খরস্রোতা নদীর জলোচ্ছ্বাসে এখন বহু অংশেই ভগ্ন। সিসামারা নদীর দুটি স্থানে সেই ভাঙন পরিদর্শন করেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক।

WB Flood Situation: প্রবল বৃষ্টিতে বানভাসি আলিপুরদুয়ারে গুড়িয়ে গেল ICDS-এর ঘর, জলে আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধারে বায়ুসেনা
দেখা যায়, বাঁধের সিন্থেটিক অংশই ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে। নদী পাড়ে ভাঙন শুরু হয়েছে। জল ঢুকে পড়ছে গ্রামে। বর্ষায় আতঙ্কে দিন কাটাতে হচ্ছে স্থানীয়দের। ফলে স্থানীয় গ্রামবাসীদের দাবি সিন্থেটিক বাঁধ নয়, বোল্ডার বাঁধই সমস্যার সমাধান করতে পারে। সেই দাবিও স্থানীয়রা মন্ত্রীকে জানিয়েছেন।

আলিপুরদুয়ারে বন্যার জন্য কার্যত প্রতিবেশী দেশ ভুটান এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে দুষেছেন পার্থ ভৌমিক। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রতি বছর প্রতিবেশী দেশ ভুটানে বৃষ্টির জেরে প্লাবিত হয় আলিপুরদুয়ার জেলা সহ জলপাইগুড়ি জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। এই বছর নদীর নাব্যতা কর্মে যাওয়ায় জেলার তোর্ষা, কালজানি শহ একাধিক নদীতে ভাঙন হয়েছে। ক্ষতির মুখে কয়েক হাজার মানুষ। দেশের প্রধানমন্ত্রী আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন শুনছেন না।’

Jalpaiguri Flood Alert : লাগাতার ভারী বৃষ্টিতে বানভাসী জলপাইগুড়ি, জারি রেড অ্যালার্ট
তাই এদিন তিনি আলিপুরদুয়ারের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লাকে অনুরোধ জানান অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে ভুটানের সঙ্গে আলোচনা করে আলিপুরদুয়ার জেলাবাসীর সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসুক কেন্দ্রীয় সরকার।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version