পঞ্চায়েত নির্বাচন ২০২৩-এ মালদা জেলা পরিষদ ৪৩ টি আসনের মধ্যে ৩৪ টি আসনে জয়ী হয়েছে রাজ্যের শাসক দল অর্থাৎ তৃণমূল কংগ্রেস। পাঁচটি আসনে জেতে কংগ্রেস। চারটি আসনে বিজেপি জয়লাভ করেছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ দিক থেকে শাসক দল এগিয়ে আছে। তারাই জেলা পরিষদ গঠন করবে।
মালদা জেলা পরিষদ নতুন আসন বিন্যাসে মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি পদটি এইবার তপশিলি জাতি মহিলা সংরক্ষিত। তৃণমূলের জয়ী ৩৪ জনের মধ্যে এসসি মহিলা জয়ী প্রার্থী রয়েছেন চারজন। ইংরেজবাজারের ব্লকের লিপিকা বর্মন ঘোষ, গাজোল ব্লকের সাগরিকা সরকার, মানিকচক ব্লকের কবিতা মণ্ডল, রতুয়া ব্লকের মঙ্গলী চৌধুরী।
এই চারজন মহিলা প্রার্থীর মধ্যে একজন সভাধিপতি হবেন। তবে কে সভাধিপতি হবেন সেই নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। জেলাবাসীর মধ্যে তৈরি হয়েছে কৌতুহল। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, এই চারজনের মধ্যে পাল্লা ভারী ইংরেজবাজারের লিপিকা বর্মন ঘোষের। তিনি বিগত পাঁচ বছর ইংরেজবাজার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এর দায়িত্বে ছিলেন।
তিনি পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদের প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তারপরে রয়েছেন মানিকচকের কবিতা মণ্ডল ও গাজলের সাগরিকা সরকার। কবিতা মণ্ডল মানিকচকের পঞ্চায়েত সমিতির দায়িত্বে ছিলেন। সাগরিকা সরকার 2018 পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদের বিজেপির প্রতীকে জিতেছিলেন। পরবর্তীতে তিনি তৃণমূলে যোগদান করেছেন।
অন্যদিকে, রতুয়ার মঙ্গলি চৌধুরী তিনি রাজনীতিতে প্রথম। বাকিদের তুলনায় তিনি অভিজ্ঞতায় কনিষ্ঠা। মালদা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি বাবলা সরকার জানান, এই ব্যাপারে সম্পূর্ণ সিদ্ধান্ত নিবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই চারজন মহিলার বায়োডাটা সমস্ত তথ্য সহ কলকাতার রাজ্য নেতৃত্বের কাছে জমা করা হয়েছে। রাজ্য নেতৃত্ব জেলা সভাধিপতির নাম নির্ধারণ করে জানাবে জেলা কমিটিকে।
প্রসঙ্গত, জেলা পরিষদ ছাড়াও ত্রি স্তর পঞ্চায়েত বাকি দুটি ক্ষেত্রে কংগ্রেস এবং সিপিএমকে পিছনে ফেলে অনেকটাই এগিয়ে যায় তৃণমূল কংগ্রেস। মালদার 15টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে 10টি যায় শাসকদলের দখলে। মালদায় বিজেপির হাতে যায় শুধুমাত্র হবিবপুর পঞ্চায়েতের সমিতি ৷