এই সময়: চিট ফান্ডের মামলাগুলো এখনও আদালতে বিচারাধীন। অভিযুক্তরা কেউ জেলে, কেউ আবার জেলের বাইরে। এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের একটি বিশ্ববিদ্যালয় সমীক্ষা চালাল চিটফান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ও প্রতারিতদের উপর। দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ জুরিডিক্যাল সায়েন্সেস বা এনইউজেএসের সাম্প্রতিক সমীক্ষায় প্রতারিতদের বিষয়ে নানা তথ্য সামনে এসেছে। এই সমীক্ষায় এনইউজেএসকে সাহায্য করেছে লন্ডনের ইউনিভার্সিটি অফ লেস্টার।

Recruitment Scam : কুন্তলের সেলের সামনে ২ সন্দেহভাজনের আনাগোণা! নেপথ্যে কোন রহস্য?
বুধবার এনইউজেএসের এই রিপোর্ট প্রকাশ করেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগ। যাঁর রিপোর্ট ও সুপারিশের ফলে পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতির মামলা গতি পেয়েছে, এমনটা আইনজ্ঞদের একাংশ মনে করেন। চিট ফান্ড নিয়ে বিচারপতি বাগের রিপোর্টে বলা হয়েছে, এখনও বিভিন্ন উপায়ে, বিভিন্ন চেহারায় এই রাজ্যের মানুষকে ঠকাচ্ছে বহু চিট ফান্ড এবং সেগুলোর বিরুদ্ধে ধারাবাহিক আইনি অভিযান প্রয়োজন।

Indian Poverty Rate 2023: ১৫ বছরে গরিবিকে কতটা হারাল ভারত? রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য
রিপোর্টে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে ১৯৭০ সাল থেকেই চলছে পঞ্জি স্কিম বা চিট ফান্ডের রমরমা। সেই জন্য বহু মানুষকে প্রতারিত হতে হয়েছে। অল্প সময়ে অতিরিক্ত রিটার্ন পাওয়া যাবে, মূলত এমন প্রলোভন দেখিয়েই গরিব ও অল্প শিক্ষিত মানুষকে টার্গেট করা হচ্ছে। তা ছাড়া, বহু বেকার যুবকের কর্মহীনতাকে হাতিয়ার করে এজেন্ট হিসেবে কাজে লাগানো হয়েছে তাঁদের।

Suvendu Adhikari : ‘বাংলায় ৩৫৫ ধারা প্রয়োগের অনুকূল পরিস্থিতি আছে’, ফের মন্তব্য শুভেন্দুর
রাজ্যের ছ’টি জেলার ৫০০ জন ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সঙ্গে কথা বলে এনইউজেএসের সুপারিশ- একেবারে স্কুলস্তর থেকে, বিশেষ করে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত এই ব্যাপারে অর্থনৈতিক শিক্ষা দেওয়া উচিত। তা ছাড়া, এই ধরনের বেআইনি ভুঁইফোড় সংস্থাগুলিতে টাকা রাখলে আসলে লাভ যে হয় না, সেই মর্মে পাড়ায় পাড়ায় সরকার ও নাগরিক সমাজের নিবিড় প্রচার চালানো উচিত বলে জানানো হয়েছে ওই সমীক্ষায়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version