২০৩০-এর মধ্যে বিশ্বকে টিবি-মুক্ত করার ডাক দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। কেন্দ্রীয় সরকার ২০২৫-এর মধ্যেই দেশকে টিবি-মুক্ত করতে চায়। সেই লক্ষ্যেই স্বাস্থ্য দপ্তরের এই উদ্যোগ। নিজেদের ‘টিবি-মুক্ত’ বলে দাবি করা পঞ্চায়েতগুলির দাবি প্রথমে ব্লক বা পঞ্চায়েত সমিতি স্তরে, পরে জেলা স্তরে মূল্যায়ন করা হবে। দু’ধাপে সবুজ সঙ্কেত মিললে স্বাস্থ্য দপ্তর এবং পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তর যৌথ ভাবে সেই পঞ্চায়েতকে ‘টিবি-মুক্ত’ তকমা ও শংসাপত্র দেবে।
এই দাবির মাপকাঠিও ঠিক করে দিয়েছেন রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য মিশনের অধিকর্তা তথা স্বাস্থ্য দপ্তরের অন্যতম সচিব শুভাঞ্জন দাস। সব জেলার সাধারণ ও স্বাস্থ্য প্রশাসনকে জানানো হয়েছে, প্রতি বছর প্রথমে হাজার জনে অন্তত ৫০ জনের টিবি পরীক্ষা করতে হবে। যদি দেখা যায়, টিবি-তে আক্রান্তের সংখ্যা ২ বা তার কম, তখনই সেই পঞ্চায়েত নিজেদের ‘টিবি-মুক্ত’ বলে দাবি করতে পারবে। চিহ্নিত রোগীদের টিবি স্ক্রিনিংও করতে হবে বাধ্যতামূলক ভাবে। যক্ষ্মা রোগী হিসেবে চিহ্নিতদের সম্পূর্ণ চিকিৎসা করাতে হবে। পুরো প্রক্রিয়া শেষে পঞ্চায়েত টিবি-মুক্তির দাবি করতে পারবে।
স্বাস্থ্যকর্তারা জানাচ্ছেন, টিবি-কে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলেই কেন্দ্রীয় ভাবে এই অসুখকে পঞ্চায়েত ডেভেলপমেন্ট প্ল্যানে রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের পাশাপাশি এই কর্মসূচিতে যুক্ত হচ্ছে পঞ্চায়েতগুলিও। তবে ভোট শেষে এখনও পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠিত হয়নি। এতে কোনও সমস্যা হতে পারে? স্বাস্থ্যভবন তেমনটা মনে করছঠে না। এই কাজ হবে এগজিকিউটিভ স্তরে, যেখানে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির গুরুত্ব সামান্যই।