এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। CPIM-এর অভিযোগ কিছু দুষ্কৃতী ঝামেলা করছিল। যদিও তৃণমূলের পালটা অভিযোগ, বাম আমলে তাঁদের দুষ্কৃতীরা সাধারণ মানুষকে খুন করেছে। এদিন বাম নেতারাই এখানে এসেছেন।
তাই সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে তুফানগঞ্জ -১ ব্লকের বালাভূত গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর বালাভূত, দক্ষিণ বালাভূত, চর বালাভূত গ্রাম। বহু CPIM-র নেতা কর্মীদের বাড়ি, দোকান ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
বাধ্য হয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ওই গ্রামগুলোর কয়েকশো বাসিন্দা আসামে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন। যদিও পরে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা আসামে গিয়ে তাঁদের বাড়ি ফিরিয়ে আনেন। শুক্রবার দুপুরে ওই বালাভূতে গিয়েছিলেন CPIM রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
সঙ্গে ছিলেন CPIM-এর কোচবিহার জেলা সম্পাদক অনন্ত রায়, প্রাক্তন বিধায়ক তমসের আলি সহ CPIM নেতা কর্মীরা। দক্ষিণ বালাভূত গ্রামে ঢুকতেই তাঁদের কালো পতাকা দেখানো হয়। গো ব্যাক স্লোগান দেওয়া হয়। দেখানো হয় বিক্ষোভ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
যদিও ঘটনাস্থলে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে দক্ষিণ বালাভূত গ্রামে আক্রান্ত CPIM কর্মীদের বাড়ি যান নেতারা। কথা বলেন তাঁদের সঙ্গে। যদিও সেলিম তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিন তৃণমূলের নাম মুখে আনেননি।
তিনি বলেন, ‘কিছু দুষ্কৃতী এখানে ঝামেলা করতে এসেছিল। তারা আগেও CPIM নেতা কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর করেছে। লুটপাট চালিয়েছে। কিছুদিন তাঁরা আসামে আশ্রয় নিয়েছিলেন। দুষ্কৃতীদের ধরতে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।’ যদিও তৃণমূলের বালাভূত অঞ্চল সভাপতি আফতাব আলি ব্যাপারি বলেন, ‘CPIM নেতাকর্মীরা সাধারণ মানুষের উপর একটা সময়ে অত্যাচার করেছিল। মারধর করত। তাই সাধারণ মানুষ এদিন CPIM-এর ওইসব নেতাদের বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।’
তৃণমূল বলছে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন সাধারণ মানুষ। আর CPIM নেতাদের কথাতে বিক্ষোভ দেখিয়েছে দুষ্কৃতীরা। তবে সবকচিহু ছাপিয়ে উঠে আসছে সেলিমের মুখে আক্রান্ত কর্মী বা বিক্ষোভ, কোনও কিছু নিয়েই তৃণমূলের নাম না নেওয়া।