উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গ জায়গায় জায়গায় ভোটের পর থেকে উদ্ধার ব্যালট। এখনও নানান জায়গায় উদ্ধার হচ্ছে ব্যালট পেপার। কোথাও নদীর পাড় তো কোথাও পুকুর পারে মিলছে ব্যালট। শাসক-বিরোধী দুপক্ষই মানছে, একাধিক জায়গায় বৈধ ব্যালটও মিলেছে। কিন্তু ভোটের পর থেকে এই ব্যালট নিয়ে কী কী করণিয় তা নিয়ে কিন্তু রাজ্য নির্বাচন কমিশন সব বছরই নির্দেশিকা জারি করে। পাশাপাশি RO-Hand Book এ এই নিয়ে পরিষ্কার করে সবটাই বলা আছে। সেই নিয়ম মানতে হয় রাজ্যের সমস্ত জেলা প্রশাসনকে। তারপরেও কী ভাবে ব্যালট বাইরে এল তা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

ভোটের পর প্রার্থীদের ভাগ্য নির্ধারণের চাবিকাঠি ব্যালট পেপার কড়া নিরাপত্তায় থাকে স্ট্রং রুমে। এরপর তা পৌঁছয় কাউন্টিং সেন্টারে। গণনা হয়, ফলাফল ঘোষণা হয়। কিন্তু এরপরেও কাজ শেষ হয়ে যায় না। নির্দেশ মেনে ৬ মাস পর্যন্ত তা সংরক্ষণ করতে হয়।

নির্বাচনী হ্যান্ড বুক

ফলাফলের পর ব্যালট পেপার নিয়ে কী হয় জানেন?

১. প্রথমত আলাদা করে ফেলা হয় বাতিল ব্যালটকে (রিজেক্ট ব্যালটকে)। তারপর তা খামে ঢুকিয়ে ফেলা হয়।

২. একইভাবে যেগুলি বৈধ ব্যালটগুলিও পার্টি ধরে পর পর সাজিয়ে ফেলা হয়। তাও একটি খামে ঢুকিয়ে ফেলা হয়।

৩. এরপর দুটো খামকেই একটা বড় খামে ঢুকিয়ে তা রিটার্নিং অফিসার ‘ইউনিক সিল’ দিয়ে আটকে দেন।

Calcutta High Court : রাজ্যে আরও ১০ দিন বাহিনী রাখার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের, সম্মতি দিল হাইকোর্ট

৪. এভাবে প্রত্যেক পোলিং স্টেশনের খাম তৈরি হয় কাউন্টিং সেন্টারে।

৫. এরপর সেই খাম গুলিকে একটি ট্রাঙ্কে ভরে ফেলা হয়। সেই ট্রাঙ্ক গালা সিল হয়।

৬. এরপর এই গোটা ট্রাঙ্কটি বিডিও অফিসের ঘরে ৬ মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করে রাখা হয়। ওই সময় পর্যন্ত এই নিয়ে কেউ চাইলে আদালতে যেতে পারে। কোথায় রাখা হবে সেই ট্রাঙ্ক তা বিডিওরাই ঠিক করে থাকেন।

Panchayat Election : ব্যালট পেপার হামলে পড়ে খাই

প্রসঙ্গত, বাতিল ব্যালটের সংখ্যাও কিন্তু অনেকটাই হয়ে থাকে। কেন তা বাতিল হল তাও পরিষ্কার করে স্ট্যাম্প মারতে হয়। আগে তা থেকেই তা তৈরি থাকে। প্রত্যেকটি ব্যালট ভালভাবে খতিয়ে দেখতে হয় গণনার সময়ে। যদি কোনও ব্যালটের পিছনের দিকে প্রিসাইডিং অফিসারের সই না থাকে, তাহলে সেটি বৈধ বলে গণ্য হবে না। এই ধরনের ব্যালট বাতিল করতে হবে গণনার সময়ে। নির্দিষ্ট জায়গায় ছাপ না পড়লে, দুটো ছাপ পড়লে এমন একাধিক কারণ রয়েছে, ব্যালট বাতিল হওয়ার। কমিশনের গাইডলাইনে এই নিয়ে নির্দিষ্টভাবে সবটাই বলা আছে।

Panchayat Ballot: ‘ব্যালটে পেট ভর্তি?’ ডিনার না করায় দলের অন্দরেই ঠাট্টা! মুখ খুললেন অশোকনগরের বিধায়ক
নির্দিষ্ট সময় পর কিন্তু এই ব্যালট পুড়িয়ে বা নষ্ট করে ফেলতে হয়। তাও উল্লেখ করা আছে নিয়মে। কেউ তা পুড়িয়ে ফেলেন কেউ বা ছোট ছোট করে টুকরো করে ফেলেন।

এত ব্যালট বাইরে আসল কী করে?

প্রশাসনের এক কর্তা বলছেন, ‘অনেক জায়গাতেই ব্যালট লুঠ হয়েছে। সেগুলি নানান জায়গা থেকে উদ্ধার হয়েছে। সেই সম্ভবনাই বেশি। এগুলি কোনওভাবেই বাইরে বেরনোর কথা নয়, এটা তো অস্বীকার করার উপায় নেই।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version