সাফাই কর্মীদের কর্মবিরতির ফলে শহর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। চাঁপদানি পুরসভার অস্থায়ী সাফাই কর্মীদের অভিযোগ, ১০০ টাকা রোজ মজুরিতে তাদের কাজ করানো হয় ।দীর্ঘদিন ধরে এই ব্যবস্থা চালু থাকলেও মজুরি বৃদ্ধি করা হয়নি। এখনকার মূল্যবৃদ্ধির বাজারে ১০০ টাকা রোজে কাজ করে পেট চলে না। সেই কারণেই তাঁরা বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নেমেছেন।
সাফাই কর্মীদের দবি, আগেও তাঁরা মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করেছেন। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। সেই কারণে শনিবার থেকে তাঁরা ফের আন্দোলনে নেমেছেন। শনিবার থেকে শুরু হয়েছে কর্মবিরতি। সাফাই শ্রমিকদের অভিযোগ, রবিবার রাতে তাঁদের ডেকে পাঠায় ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ। আন্দোলন তুলে নেওয়ার জন্য তাদের উপর চাপ দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। সেই কারণে সোমবার সকাল থেকেই পুরসভার গেট আটকে তাঁরা ফের বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
সুনীল হরি নামে এক সাফাইকর্মী বলেন, ‘কুড়ি তারিখে বোর্ড মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। আমরা আট ঘন্টাই কাজ করি। মজুরি বাড়ানো নিয়ে পুরসভার টালবাহানা দীর্ঘদিনের। প্রতিবাদ করলে কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়। এই মূল্যবৃদ্ধির সময় দৈনিক ১০০ টাকা মজুরিতে সংসার চালানো সম্ভব! আপনারাই বলুই। সেই কারণেই আমরা আন্দোলনে নেমেছি।’
চাঁপদানি পুরসভার চেয়ারম্যান সুরেশ মিশ্র বলেন, ‘আমরা চাঁপদানিকে পরিষ্কার রাখতে চাই। সামনে একটা উৎসব আছে তাকে সামনে রেখে কেউ যদি পুরসভাকে ব্ল্যাকমেইল করে আমরা কোনওভাবেই মেনে নেব না। আমরা বলেছি অস্থায়ী কর্মী যাঁরা কাজ করছেন তাঁদের ছয় ঘন্টা কাজ করতে হবে। কিন্তু আমরা দেখেছি অনেকেই অন্য কাজে চলে যান। কেউ হয়তো এক ঘন্টা কাজ করে। এক ঘন্টার জন্য ১০০ টাকা যথেষ্ট। আমরা বায়োমেট্রিক হাজিরার ব্যবস্থা করছি। ওয়ার্ডের প্রতিনিধিদের থেকে রিপোর্ট নেওয়া হবে। যাঁরা কাজ করবেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে মজুরি বাড়ানো হবে না এ কথা বলা হয়নি।’