বর্ষা শুরু হতেই রাজ্যে জাঁকিয়ে বসছে ডেঙ্গির মতো মারণ রোগ। কিছুদিন আগেই বারাসতে এক স্কুল ছাত্রী নাবালিকার মৃত্যু হয়েছিল ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে। আর আজ ফের মৃত্যু দেখল রাজ্য। এবার কলকাতায় ডেঙ্গির হানা। ১০ বছরের ছাত্রীর মৃত্যু হল এবার। ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে পিকনিক গার্ডেনের এক বালিকার মৃত্যু হয়েছে বলে সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে।

ইন্সটিটিউট অফ চাইল্ড হেলথে ওই ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর মৃত্যু হয় বলে খবর। জ্বর, বমি, গায়ে ব্যথার উপসর্গ নিয়ে বৃহস্পতিবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল সে, হাসপাতাল সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। ডেথ সার্টিফিকেটে সিভিয়ার ডেঙ্গি, মাল্টি অর্গান ফেলিওয়ের উল্লেখ রয়েছে বলে সূত্রের খবর। ওই নাবালিকার প্লেটলেট নেমে গিয়েছিল ৯ হাজারে। রাখা হয়েছিল ভেন্টিলেশনে।

Dengue In Kolkata : ৩ দিনের বেশি জ্বর? টেস্ট করানোটা মাস্ট
কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি বলে জানা গিয়েছে। কয়েকদিন আগে একইভাবে বারাসতের এক নাবালিকার মৃত্যু হয়েছিল প্লেটলেট নেমে গিয়ে। ডেঙ্গি এভাবে শহরে ও জেলায় পরপর থাবা বসাতেই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য প্রশাসন। রাজ্যের রক্তভাণ্ডারে প্লেটলেটের ঘাটতি ঠেকাতে আগেভাগে গাইডলাইন জারি করে দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। তা পাঠিয়েও দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন জেলার হাসপাতালে ও ব্লাড ব্যাঙ্কে।

তাতে লেখা আছে, রোগীর প্লেটলেট কাউন্ট ১০ হাজারের নীচে গেলে প্লেটলেট দিতে হবে। যেসব রোগীদের প্লেটলেট কাউন্ট ১০ থেকে ২০ হাজারের মধ্যে, সেক্ষেত্রে রক্তপাত না হলে প্লেটলেট দেওয়ার প্রয়োজন নেই। কোন গ্রুপের প্লেটলেট প্রয়োজন, প্রেসক্রিপশনে উল্লেখ করতে হবে।

Dengue Symptoms : বর্ষায় বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ, দুর্গাপুরে আক্রান্ত ১৪
এই বিষয়ে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি সংক্রমণে রোগীর দেহে প্লেটলেট কাউন্ট কমে যায়। তখন রক্তপাত হতে পারে। সে সময়ে প্লেটলেট দিতে হয় রোগীকে। তবে ডেঙ্গির সময়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে এই প্লেটলেট নিয়ে খানিকটা অতিরিক্ত আতঙ্কও তৈরি হয়।

অনেকেই ভেবে বসেন, ডেঙ্গি হলেই হাসপাতালে ভর্তি করে প্লেটলেট দিতে হবে। আসলে সবক্ষেত্রে এমন হয় না, প্লেটলেট কমতে শুরু করলেও তা নিয়ে প্রথমেই ভয় পাওয়ার কিছু নেই। অনেক সময়ে নিয়ম মেনে রোগীর যত্ন করলেই প্লেটলেট বেড়ে যায়।

Dengue Symptoms : ডেঙ্গি বাড়লেও হোলদোল নেই জনতার! কী কী পদক্ষেপ শান্তিপুর পুরসভার?
কিন্তু সাধারণ মানুষের একাংশ তা না বুঝে আতঙ্কিত হলে প্লেটলেটের অতিরিক্ত চাহিদা তৈরি হয়। আর এমনই কিছু খবর সামনে আসছে রাজ্যে বেশ কিছু হাসপাতাল থেকে। তাই এই জিনিস আটকাতে কড়া হাতে নামছে রাজ্য প্রশাসন। যদিও তারমধ্যেই মৃত্যুর খবর আসছে একের পর এক।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version