অর্ণবাংশু নিয়োগী: ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মোকাবিলায় রাজ্যে আরও ১০ দিন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে থাকার অনুমতি দিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্য ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন স্পর্শকাতর এলাকা সনাক্ত করবে এবং সেখানেই এই বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। নির্দেশ প্রধান বিচারপতির। আর এই কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রত্যাহার প্রসঙ্গে কেন্দ্র আদালতকে জানায়, পর্যায়ভিত্তিক বাহিনী প্রত্যাহার নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র। তাতে অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট।
এদিন আদালতে কেন্দ্র জানায় ২ দফায় ৫২ এবং ৮৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রত্যাহার করা হয়েছে। পাশাপাশি, রাজ্য ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন শুরু থেকেই নোডাল অফিসারের সঙ্গে অসহযোগিতা করে আসছে বলেও অভিযোগ করে কেন্দ্র। এদিন আদালতে শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী সওয়াল করেন, প্রায় ৬১ হাজার বুথে নির্বাচন কমিশন একদিনের মধ্যে কী করে স্ক্রুটিনি করল? এত বিপুল সংখ্যক বুথের সিসিটিভি ফুটেজ বা ভিডিয়ো ফুটেজ এত অল্প সময়ের মধ্যে দেখে কোন কোন বুথে পুনরায় নির্বাচন প্রয়োজন সেই সিদ্ধান্তে কী করে উপনীত হল কমিশন?
যার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি জানতে চান, কারা এই ধরনের কাজ করেছে? দুষ্কৃতীদের কি সনাক্ত করা গিয়েছে? যে ৪৫টি ভিডিয়ো ফুটেজ দেওয়া হয়েছিল সেগুলির কী হল? কমিশনকে প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির। জবাবে কমিশন জানায়, ১০টি বুথ সনাক্ত করা গিয়েছে। পদক্ষেপ করা হয়েছে। কিন্তু ৩৫টি বুথ সনাক্ত করা যায়নি। এদিন পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত সমস্ত মামলা খারিজের আবেদন জানিয়ে আদালতে মামলা করে রাজ্য। যার জবাবে রীতিমতো ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতি বলেন, এই ধরনের আবেদন করে কী প্রমাণ করতে চাইছেন? আদালতের ওপর বিশ্বাস রাখুন। আদালতের সঙ্গে কি রাজনীতি করতে চাইছেন? আবেদন প্রত্যাহার করুন না হলে জরিমানা করে আবেদন খারিজ করা হবে।
এদিন আদালতে কেন্দ্র স্পষ্ট জানায় যে, বাহিনী তুলে নেওয়ার যে কথা বলা হচ্ছে, তা ভুল। ২২ জুলাই ৫৯ কোম্পানি এবং ২৩ জুলাই ৮৪ কোম্পানি বাহিনী মাত্র তুলে নেওয়া হয়েছে। বেশি সংখক বাহিনী এখানেই আছে। সওয়াল জবাবের পর আরও ১০ দিন রাজ্যে বাহিনীকে থাকার নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি। পাশাপাশি, হাওড়া থেকে গতকালও ব্যালট উদ্ধার হয়েছে। আদালতকে জানান শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী। যার পরিপ্রেক্ষিতে সেই কুড়িয়ে পাওয়া ব্যালটের ছবি সহ হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দেন, যাঁরা বাড়ি ফিরতে পারছেন না, তাঁদের ফেরানোর ব্যবস্থা করবে পুলিস। জেলা পুলিস সুপার গোটা প্রক্রিয়ার উপর নজর রাখবেন।
আরও পড়ুন, Partha Chatterjee: ‘… আমার আসে যায় না!’ জেলবন্দির ১ বছরে ফের বিস্ফোরক পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়