ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে হুগলি জেলায়। এখনও মৃত্যু না হলেও ৩০০ ছুঁয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমা ভূঁইয়া বলেছেন, ‘গত বছর হুগলিতে সাত হাজারের বেশি ডেঙ্গি আক্রান্ত ছিল। চলতি বছরে জানুয়ারী মাস থেকে জুলাই পর্যন্ত হুগলি জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্ত ৩০০ ছাড়িয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২০ জন। হুগলির শ্রীরামপুর, চন্দননগর, চুঁচুড়ায় আক্রান্ত বাড়ছে। পুরসভাগুলোর পাশাপাশি চণ্ডীতলার মত গ্রামীন এলাকাতেও ডেঙ্গি আক্রান্ত হচ্ছে অনেকেই। সাধারণত পুজোর আগে সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা যায়। এবার আগে থেকেই ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা যাচ্ছে।’

Dengue In Kolkata: ডেঙ্গির চোখরাঙানি! বাংলাদেশ থেকে রাজ্যে ঢুকলে ইমিগ্রেশনেই রক্ত পরীক্ষা
ডেঙ্গি মোকাবিলায় একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হুগলির জেলা শাসক পি দীপাপ প্রিয়া। জেলা শাসক বলেন, ‘শ্রাবণ মাসে তারকেশ্বরে শ্রাবণী মেলা শুরু হয়েছে। এই সময় বহু পুণ্যার্থী বৈদ্যবাটি থেকে জল নিয়ে পায়ে হেঁটে তারকেশ্বর যান। দীর্ঘ পথে সিঙ্গুর হরিপাল তারকেশ্বরে রাস্তার পাশে পুণ্যার্থীরা বিশ্রাম নেন। সেখানে খাওয়া দাওয়া করেন। প্লাস্টিক, কাপ, বিভিন্ন ধরনের কন্টেনার নোংরা ফেলা হয় রাস্তার পাশে। এই সময় হালকা ও মাঝারি বৃষ্টি হচ্ছে। সেই বৃষ্টির জল ফেলে রাখা নোংরা জমে লার্ভা থেকে মশা জন্মাতে পারে। তাই বৈদ্যবাটি থেকে তারকেশ্বরে যাত্রাপথের দু-দিক পরিষ্কার করা হচ্ছে নিয়মিত। যে সমস্ত খাল ও জলাশয়গুলো নোংরায় ভর্তি ছিল সেগুলোকেও সংস্কার করা হচ্ছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের চাষ করা গাপ্পি মাছ ছাড়া হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়।’

Dengue Symptoms : ডেঙ্গি বাড়লেও হোলদোল নেই জনতার! কী কী পদক্ষেপ শান্তিপুর পুরসভার?
এছাড়াও তিনি বলেন, ‘এসএইচজি এবং ভিআরপিদের দিয়ে গ্রামের মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। পুরসভার ক্ষেত্রে লাগাতার প্রচার চালানো হচ্ছে। ড্রেন পরিষ্কার আছে কিনা, কোথাও জল জমছে কিনা তা দেখা হচ্ছে। ছবি তুলে আপলোড করা হচ্ছে পোর্টালে। এর জন্য একজন করে সুপারভাইজার রয়েছেন। পতঙ্গবিদরা দেখছেন জমা জলে ডেঙ্গি লার্ভা আছে কিনা। কোনও নতুন এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ মিললে সেই এলাকাকে চিহ্নিত করে সতর্কতা বাড়ানো হচ্ছে।’

Dengue Death In Kolkata : বাড়ছে উদ্বেগ, ফের রাজ্যে ডেঙ্গিতে মৃত্যু ২ জনের! আক্রান্ত বাড়ছে দুই ২৪ পরগনায়
জেলা প্রশাসন থেকে যে বিষয়গুলির উপর জোর দেওয়া হয়েছে ডেঙ্গি মোকাবিলায় সেগুলি হল, বৃষ্টির জল যাতে কোথাও জমে না থাকে সেটা দেখা, সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কোথাও আবর্জনা জমে থাকলে সেগুলোকে পরিষ্কার করা। হাসপাতালগুলোতে ফিভার ক্লিনিকের ওপর জোর দেওয়া, জ্বরের উপসর্গ নিয়ে কেউ হাসপাতালে এলে তাঁর রক্ত পরীক্ষাও করা হচ্ছে।

Dengue Symptoms : বর্ষায় বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ, দুর্গাপুরে আক্রান্ত ১৪
মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, ডেঙ্গিকে ভয় পেতেই হবে। তবে সতর্ক ও সচেতন থাকলে ডেঙ্গি মোকাবিলা করা যায়। জ্বর হলেই হাসপাতালে গিয়ে পরীক্ষা করাতে হবে। সব হাসপাতালে ফিভার ক্লিনিক খোলা হয়েছে। জেলা হাসপাতালে প্লেটলেট প্রস্তুত রাখা আছে। প্রতিদিন ২০০ জনের পরীক্ষা হচ্ছে। গড়ে পাঁচ জন ডেঙ্গি পজিটিভের খোঁজ মিলছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version