কিন্তু, দেবের আশ্বাস সত্ত্বেও কোনও সাহায্য পাননি, এমনটাই দাবি করলেন চন্দ্রিনী। একইসঙ্গে তাঁকে দেব সাহায্য করছেন, এই খবর সামনে আসার পর অন্যান্য জায়গা থেকেও সাহায্য পাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে গিয়েছে তাঁর জন্য, এমনটাই দাবি তরুণীর।
ঠিক কী ঘটেছে?
হুগলির ধনিয়াখালির বাসিন্দা চন্দ্রিনী চট্টোপাধ্যায়। ২০১৯ সালে মাকে হারান তিনি। জীবনে চলার পথে বড় ভরসার জায়গা বাবা জ্যোতির্ময় চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু, গত দেড় বছর আগে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, নিজে খাবার খেতে পারতেন। মেয়ের মাথায় স্নেহের পরশ থেকে শুরু করে তাঁর সঙ্গে কথা বলা, সুখ-দুঃখ ভাগ করে নিতে পারতেন প্রবীণ। এদিকে চন্দ্রিনী চুক্তিভিত্তিক কাজ করে সংসার চালাচ্ছিলেন।
কিন্তু, সুখের সংসারে ফের বিপত্তি। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁর বাবা। আপাতত তিনি কলকাতার একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি। যদিও হুগলির এই তরুণীর দাবি, সেখানে সুচিকিৎসা পাচ্ছিলেন না তাঁর বাবা। এরপরেই নিউরো চিকিৎসার জন্য একাধিক বেসরকারি হাসপাতালের দরজায় কড়া নেড়েছিলেন এই তরুণী। সম্বল ছিল স্বাস্থ্য সাথী কার্ড। যদিও অধিকাংশ বেসরকারি হাসপাতালই দাবি করেছিল, তাদের কাছে কোনও খালি আসন নেই।
এরপরেই বাবার চিকিৎসার জন্য সাহায্য চেয়ে বিভিন্ন দরজায় কড়া নেড়েছিলেন চন্দ্রিনী। তাঁর সাহায্য চাওয়ার একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরালও হয়। দেবের এক ভক্ত তা সুপারস্টারকে ট্যাগ করেন। সাড়া দিয়েছিলেন সুপারস্টার নিজেও। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তিনি জানান, তাঁর টিম যোগাযোগ করে নেবে।
বৃহস্পতিবার চন্দ্রিনী এই সময় ডিজিটালের কাছে দাবি করেন, কোনও আর্থিক সাহায্য তিনি পাননি। দেবের টিমের সদস্য হিসেবে পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি তাঁকে ফোন করেছিলেন। কিন্তু, নামী সরকারি হাসপাতালে চন্দ্রিনীর বাবা ভর্তি আছে শোনার পর আর কোনও সাহায্যের কথা জানানো হয়নি।
চন্দ্রিনী বলেন, “এই হাসপাতালে বাবা চিকিৎসা পাচ্ছেন না। আমার আর্থিক সম্বল নেই অন্যত্র বাবাকে নিয়ে যাওয়ার। রটেছে আমাকে নাকি দেব সাহায্য করেছেন। কিন্তু, আমি কোনও আর্থিক সাহায্য তাঁর থেকে পাইনি। বরং এই খবর রটে যাওয়ার পর অন্যরাও আমাকে সাহায্য করছেন না। তাঁরা ভাবছেন আমি এক জায়গা থেকে সাহায্য পেয়েছি। বাবার চিকিৎসা আমার কাছে প্রাথমিকতা। আর সেই জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”