ষড়যন্ত্র করে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূল প্রার্থীকে জেতাতে উলুবেড়িয়ার সিপিএম প্রার্থীর মনোনয়ন বিকৃতির অভিযোগ। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দিয়ে আদালতে জানালেন, সমস্ত অভিযোগ সত্য। ইচ্ছাকৃতভাবে সিপিএম প্রার্থী কাশ্মীরা বেগের মনোনয়ন নষ্ট করা হয়েছিল। এই ঘটনায় সরকারি আমলাদের সরাসরি যুক্ত থাকার তথ্য মিলেছে বলে তদন্ত কমিটির রিপোর্টে প্রকাশ। একইসঙ্গে এই রিপোর্টে বিডিও-এসডিও ও অতিরিক্ত অনগ্রসর শ্রেণির কল্যাণ দফতরের অফিসার যুক্ত থাকার সম্ভাবনা। রিপোর্টে মনোনয়ন বিকৃতি ও বাতিলে যুক্ত অফিসারদের সাসপেন্ডের সুপারিশ।

CID Probe Minakhan : সৌদিতে বসে মনোনয়ন জমা! মোহরউদ্দিনের ‘কুকীর্তি’-র তদন্তে মিনাখাঁয় CID, BDO-কে জিজ্ঞাসাবাদ

উলুবেড়িয়া ১ বহিরা গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রার্থী কাশ্মীরা বেগ তাঁর মনোনয়ন ইচ্ছাকৃতভাবে বিকৃতি করা হয়েছে এই অভিযোগ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে এই কেস ওঠে। বিচারপতি সিনহা এই অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখতে আদালতের তরফে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি দেবীপ্রসাদ দে-এর নেতৃত্বে এক সদস্যের তথ্য অনুসন্ধান কমিটি গড়া হয়। সেই কমিটিই তথ্য অনুসন্ধানের পর রিপোর্ট পেশ করে জানান, মনোনয়ন বিকৃতিতে বিডিও, এসডিও-এর যুক্ত রয়েছেন। এমনকী অনগ্রসর শ্রেণির কল্যাণ দফতরের অফিসার যুক্ত থাকার কথাও উঠে এসেছে এই রিপোর্টে। সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্র করে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে রিপোর্টে দাবি। এই বিষয় বিভাগীয় তদন্তের সুপারিশ। তিন আধিকারিকের বিরুদ্ধে তদন্ত করে সাসপেন্ডের সুপারিশ করেছে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি দেবীপ্রসাদ দে। সমস্ত রিপোর্টে খতিয়ে দেখে উলুবেড়িয়ার এক নম্বর বহিরা গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই আসনকে শূন্য ঘোষণা করে পুনর্নির্বাচনের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এব্যাপারে রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করে কমিশনকে সিদ্ধান্ত নিতে নির্দেশ।

Dakshin 24 Pargana News : মোট ভোটারের চেয়ে বেশি পড়ল ভোট! মন্দির বাজারে ৩২৬ ‘ভুতুড়ে ভোটার’ ঘিরে হইচই

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূল প্রার্থীকে জেতাতে উলুবেড়িয়া ১ বহিরা গ্রাম পঞ্চায়েতের CPIM প্রার্থীর মনোনয়নে কারচুপি করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। CPIM-এর তরফে দাবি করা হয় মনোনয়নের কাগজের সঙ্গে নিয়মমাফিক জাতি শংসাপত্র দেওয়া হলেও পরে স্ক্রুটিনির সময় বিডিও অফিসের তরফে জানানো হয় কোনও সার্টিফিকেট পাওয়া যাচ্ছে না। শুধু সিপিআইএম প্রার্থীই নয়, ওই ব্লকের সাত জন প্রার্থীর ওবিসি সার্টিফিকেটই অমিল বলে জানা যায়। সিপিআইএম প্রার্থী কাশ্মীরা বেগম খান এবং ধূলা মিসলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী তনুজা বেগম মল্লিক দুজনেই দাবি করেন তারা মনোনয়ন পেপারের সঙ্গে কাস্ট সার্টিফিকেট জমা দিয়েছিলেন। এমনকী চেকলিস্টে নথি তালকায় তা মার্ক করাও ছিল।

Howrah CPIM : লালে লাল! লাল মিষ্টিতে লাল প্রতিবাদ

সিপিআইএম প্রার্থীর অভিযোগ, কাস্ট সার্টিফিকেট ছিঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে এবং নথির চেকলিস্টে টিক চিহ্ন কেটে দেওয়া হয়। এই কাজের জন্য বিডিও নীলাদ্রি শেখর দে-এর দিকেই অভিযোগের আঙুল উঠেছে। তদন্তের পর বিডিও নীলাদ্রি শেখর দে সহ তিন আধিকারিককে সাসপেন্ড করার সুপারিশ জানিয়েছে বিচারপতি অমৃতা সিনহার গঠিত এক সদস্যের তদন্ত কমিটি। নজিরবিহীনভাবে এই প্রথম কোনও সরকারি আমলার বিরুদ্ধে উঠল এমন অভিযোগ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version