ভেঙে পড়ছে বিদ্যালয়ের একাংশ। তার মধ্যেই আতঙ্ক নিয়ে পড়াশোনা করতে হচ্ছে পড়ুয়াদের, অভিযোগ এমনই। আর এই অভিযোগ তুলে এবার বাঁকুড়া জেলার পাত্রসায়র ব্লকের পানপুকুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গেটে তালা দিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকরা। অভিযোগ উঠেছে, দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের একাংশ ভগ্নপ্রায় হয়ে পড়েছে। একপ্রকার আতঙ্ক নিয়েই ছাত্রছাত্রীদের বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে হয়। বারবার প্রশাসনকে জানানো হলেও বিদ্যালয় সংস্কারের বিষয়ে কর্ণপাত করেনি প্রশাসন এমনটাই অভিযোগ।

Bankura News : ভোট মিটলেও এখনও বিদ্যালয়ে মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনী! শিকেয় পঠন-পাঠন
আর তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বিদ্যালয়ের গেটের সামনে বিক্ষোভে সামিল হলেন বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের অভিভাবকরা। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া জেলার পাত্রসায়ের ব্লকের পানপুকুর গ্রামে। জানা যায়, পানপুকুর প্রাথমিক বিদ্যালয় দীর্ঘদিন ধরে ভগ্নপ্রায় হয়ে পড়েছে। ছাদের চাঙর ভেঙে পড়ছে, দেওয়ালে ফাটল ধরেছে। যে কোনও মুহূর্তে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এই আশঙ্কা প্রকাশ করে বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের অভিভাবকরা বিদ্যালয়ের গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভে শামিল হলেন। এই মুহূর্তে তাঁদের একটাই দাবি দ্রুত বিদ্যালয় সংস্কার করা হোক।

Birbhum News : মেয়েকে শাস্তি দেওয়ায় স্কুল শিক্ষকের উপর চড়াও অভিভাবক, মারধরের অভিযোগ
এখন কবে বিদ্যালয় সংস্কার করা হয় সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন স্কুলের পড়ুয়া ও তাঁদের অভিভাবকরা। এই বিষয়ে এক অভিভাবক বলেন, ‘প্রত্যেকদিন বাচ্চারা স্কুলে যায়, আর আমরা বাড়িতে আতঙ্কে থাকি। এভাবে কতদিন আর চলা যায়! স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে প্রশাসন কারোর কোনও তাপ উত্তাপ নেই এই বিষয়ে। এদিকে এতজন বাচ্চা এই স্কুলে পড়াশোনা করে। যদি কিছু অঘটন ঘটে যায় তো কে দায়িত্ব নেবে’? প্রশ্ন তুলেছেন ওই অভিভাবক। তিনি আরও বলেন, ‘আজ থেকে না, এই স্কুলের হাল বহুবছর ধরে খারাপ।

Malda School : ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়ানো হচ্ছে বাংলায়! নামী বিদ্যালয়ে তুমুল শোরগোল
এই কারণে অনেক মা বাবা’ই তাঁদের সন্তানদের এই স্কুল থেকে সরিয়ে অন্য স্কুলে ভর্তি করেছেন’। অভিভাবকদের দাবি, স্কুল বিল্ডিং মেরামত করে পড়াশোনার উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলার দিকে নজর দিক প্রশাসন। পানপুকুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকাল চন্দ্র পোরেল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিদ্যালয়ের সমস্যার কথা স্বীকার করে নেন। তিনি বলেন, ‘এই সমস্যার কথা আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। ওনারা বলছেন স্যাংশন হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কোনও কাজ হচ্ছে না । তাই দ্রুত বিদ্যালয় সংস্কার করা হোক সেটা আমাদেরও দাবি।

Asansol Assault Case : ছাত্রীকে শারীরিক নিগ্রহ শিক্ষাকর্মীর! ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই স্কুলে ধুন্ধুমার
এই বিষয়ে স্কুল পরিদর্শক বলেন, ‘স্কুলের বিষয়টি উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি প্ৰয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইতিমধ্যেই স্কুলের মেরামত এবং নতুন বিল্ডিং তৈরির জন্য পর্যাপ্ত ফান্ড অনুমোদন করা হয়েছে’।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version